জামালপুরের মেলান্দহে উপজেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে এক সাবেক ছাত্রলীগ নেতার বিয়ের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে প্রায় এক সপ্তাহ বন্ধ থাকে দলীয় কার্যালয়। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে শুরু হয় আলোচনা-সমলোচনা। তবে অনুমতি নিয়েই বিয়ের অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ওই ছাত্রলীগ নেতার পরিবার।
মেলান্দহ থানার পার্শ্ববর্তী উপজেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে মেলান্দহ পৌর ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ বিজয় হাসান খানের বিয়ের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। গত প্রায় এক সপ্তাহ ধরে উপজেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের প্রবেশ পথে বিশাল আকৃতির বিয়ের গেইট স্থাপন, কার্যালয় ও আশেপাশে আলোকসজ্জা, কার্যালয়ের সামনের খালি জায়গায় প্রীতিভোজের জন্য প্যান্ডেল তৈরি করাসহ বিয়ের নানা আয়োজন শুরু করে ওই সাবেক ছাত্রলীগ নেতার পরিবার। এতে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে বন্ধ হয়ে যায় নেতকর্মীদের প্রবেশ। গত বৃহস্পতিবার মোঃ বিজয় হাসান খানের গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান ও শনিবার প্রীতিভোজ অনুষ্ঠিত হয় সেখানে।
বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে সাবেক ছাত্রলীগ নেতার বিয়ের অনুষ্ঠানের বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে এ নিয়ে স্থানীয় ও বিএনপির নেতাকর্মীদের মাঝে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়।
এ বিষয়ে সাবেক ছাত্রলীগ নেতার বাবা কামরুল হাসান খান বলেন, উপজেলা বিএনপির আহবায়ক মোস্তাফিজুর রহমান বাবুলের অনুমতি নিয়েই দলীয় কার্যালয়ের সামনের খোলা জায়গায় বিয়ের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। আশেপাশে বিয়ের অনুষ্ঠান করার মতো কোন জায়গা নেই। সে কারণে এখানে অনুষ্ঠান করতে হয়েছে।
মেলান্দহ উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব নুরুল আলম সিদ্দিকী বলেন, উপজেলা বিএনপির আহবায়ক মোস্তাফিজুর রহমান বাবুলের নিজস্ব জায়গায় উপজেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয় অবস্থিত। তার সাথে কথা বলেই বিয়ের অনুষ্ঠান আয়োজন করেছে ওই সাবেক ছাত্রলীগ নেতার পরিবার। আশেপাশে জায়গা না থাকায় মানবিক কারণেই দলীয় কার্যালয়ের সামনের খোলা জায়গায় বিয়ের অনুষ্ঠানের অনুমতি দেয়া হয়েছে। এতে দলীয় সাংগঠনিক কার্যক্রমে কোন বিঘ্ন ঘটেনি।
মেলান্দহ উপজেলা বিএনপির আহবায়ক মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল দেশের বাইরে থাকায় তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।