শেরপুরের পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদে ঝাঁপ দিয়ে মাহেরা আহমেদ বিথী (২৭) নামে এক স্কুল শিক্ষিকা নিখোঁজের ২৪ ঘন্টা পর তার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
৫ আগস্ট শনিবার বিকেলের দিকে শেরপুর-জামালপুর ব্রিজ সংলগ্ন সদর উপজেলার চরপক্ষীমারী ইউনিয়নের সাতপাকিয়া এলাকায় ব্রহ্মপুত্র নদ থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
বিথী জামালপুর পৌরসভার ২ং ওয়ার্ডের দেওয়ানপাড়া এলাকার মৃত শফিউদ্দীন আহমেদ শাহিনের মেয়ে ও নান্দিনা এলাকার জাহিদ আনোয়ার লিটনের (৩৫) স্ত্রী। তিনি জামালপুর শহরের একটি বেসরকারি স্কুলে শিক্ষকতা করতেন। এদিকে বিথীর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ৪ আগস্ট শুক্রবার দুপুরে স্কুলশিক্ষিকা মাহেরা আহমেদ বিথী ব্রহ্মপুত্র নদের পাড়ে যান। পাড়ে হাঁটতে হাঁটতে নদের তীরে তার ভ্যানিটি ব্যাগ, জুতা ও মোবাইল ফোন রেখে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে ডুবে যান। পরে স্থানীয়রা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসে খবর দিলে জামালপুর ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার অভিযান শুরু করলেও শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত বিথীর খোঁজ পাননি। পরে শনিবার দুপুরে ফায়ার সার্ভিস আবার ওই স্থানে উদ্ধার কাজ শুরু করলে সেখানেই পানির নিচ থেকে বিথীর লাশ পাওয়া যায়।
ফায়ার সার্ভিস জামালপুরের স্পেশাল অফিসার মো. রবিউল ইসলাম জানান, দুইদিনের চেষ্টার পর স্কুলশিক্ষিকার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
স্কুলশিক্ষিকা বিথীর স্বজনরা বলছেন, জনি নামে একটি ছেলে বিথীকে উত্যক্ত করে আসছিল। এ কারণে অতিষ্ঠ হয়ে সে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করতে পারে। বিথীর ছোট ভাই রোহান আহমেদ কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, বিথী আপু দোকানে যাবে বলে শুক্রবার জুমার নামাজের পর বাসা হতে বের হয়। পরে আমরা ফোনে খবর পাই, ব্রহ্মপুত্র নদের পানিতে আপু ঝাঁপ দিয়েছে। নদের পাড়ে আপুর হাতব্যাগ, জুতা ও মোবাইল ফোন পাওয়া গেছে।
এ ব্যাপারে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বছির আহমেদ বাদল বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ওই ঘটনায় পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।