ময়মনসিংহের ত্রিশালে আলোচিত বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মতিন মাস্টার হত্যা মামলায় ছয়জনকে মৃত্যুদণ্ড ও দুইজনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
একইসঙ্গে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা এবং যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত দুইজনকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২ আগস্ট) বিকেলে ময়মনসিংহের দ্বিতীয় অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতের বিচারক সাবরিনা আলী এ রায় ঘোষণা করেন।
রায়ে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেওয়া হয় আসামি মোবারক হোসেন, তোফাজ্জল হোসেন, সোহাগ, রুবেল, সেলিম ও মো. ইদ্রিছকে এবং যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়- আসামি মোফাজ্জল হোসেন ও দুলাল উদ্দিনকে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, জমি দখলের প্রতিবাদ করার জেরে ২০১৮ সালের ৩ জুন খুন হন উপজেলার জামতলী গ্রামের আবদুল মতিন। তিনি ত্রিশাল উপজেলার মঠবাড়ি ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং খাগাটি জামতলী মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক ছিলেন। ঘটনার পরের দিন অজ্ঞাতদের আসামি করে ত্রিশাল থানায় হত্যা মামলা করেন নিহতের ছেলে মাহমুদুল হাসান। এরপর তদন্ত শেষে পুলিশ ৮ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। পরবর্তীতে আদালতে ২৫ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে বিচারক ওই রায় ঘোষণা করেন। রায়ে বিচারক উল্লেখ করেন, বীর মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যার মাধ্যমে আসামিরা পুরো জাতিকে ক্ষতিগ্রস্ত ও কলঙ্কিত করেছে।
এ রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন মামলার বাদি ও নিহত মুক্তিযোদ্ধার ছেলে মাহমুদুল হাসান মামুন। তিনি বলেন, এলাকায় জমি দখলের প্রতিবাদ করায় হত্যা করা হয়েছিল আমার বাবাকে। এরপর বিচার বাধাগ্রস্ত করতে নানা অপতৎপরতা চালিয়েছে আসামিরা। তবুও আমরা শেষ পর্যন্ত এ রায়ের ন্যায়বিচার পেয়েছি। আমরা সকল আসামির মৃত্যুদণ্ড প্রত্যাশা করেছিলাম, তবে যে রায় হয়েছে তাতে আমরা সন্তুষ্ট ও সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি কৃতজ্ঞ।