ময়মনসিংহ নগরীতে বসতঘরের নিজ কক্ষ থেকে সাদমান রাফি রনি (৪০) নামে এক চিকিৎসকের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) দুপুরে নগরীর পুরহিতপাড়া এলাকার প্রিয়প্রাঙ্গন নামের বাসা থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ। নিহতের শরীরে আঘাতের চিহ্ন না পাওয়া গেলেও রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্র জানায়, নগরীর পুরোহিতপাড়া এলাকার সাইদুল ইসলামের ছেলে ডা. সাদমান রাফি রনি (৪০) কুষ্টিয়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে এনেসথেশিয়া চিকিৎসক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তার স্ত্রী ডা. নাহিদা সুলতানা নিপা সিলেটের একটি বেসরকারি হাসপাতালে কর্মরত রয়েছেন। মঙ্গলবার সকাল ১১ টার দিকে ডা. সাদমানের কক্ষে রক্তাক্ত অবস্থায় তার লাশ দেখতে পান বৃদ্ধা মা রেহেনা বেগম। বাড়িতে মা ও সাদমান ছাড়া আর কেউ ছিলেন না। খবর পেয়ে পুলিশ ও সিআইডির ক্রাইমসিন ইউনিট ঘটনাস্থলে কাজ করে। কিন্তু মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে পারেনি। শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন না থাকলেও ডা. সাদমানের কক্ষের মেঝে রক্তে ভেজা ছিলো।
সুরতহাল শেষে পুলিশ জানিয়েছেন, নিহতের অন্ডকোষের কাছে একটি ছোট ছিদ্র পাওয়া গেছে। সে দিক দিয়েই রক্তক্ষরণে মৃত্যু হতে পারে ধারণা করা হচ্ছে।
ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ কামাল আকন্দ বলেন, নিহতের অন্ডকোষের কাছে ইনজেকশন নেওয়ার ছিদ্র পাওয়া যাওয়া গেছে। নেশাজাতীয় ইনজেকশনও পাওয়া গেছে। এটি আত্মহত্যা বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।