1. najmush71@gmail.com : admin : Najmush Shakeer
  2. munir2002lubnan@gmail.com : Munirul Huq Khan : Munirul Huq Khan
রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৩০ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
সেইলরের ব্র‍্যান্ড এম্বাসেডর হলেন তারকা জুটি সিয়াম আহমেদ ও বিদ্যা সিনহা মিম মন্ত্রীর বাড়ির সামনে বৃষ্টির মধ্যে দাঁড়িয়ে ছিলাম, যেন চাকরি চাইতে গিয়েছি: বাণিজ্য উপদেষ্টা নির্দোষ ব্যক্তিদের নামে হওয়া মামলা আইন মেনে প্রত্যাহারের নির্দেশ জামালপুরে শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতীয় পতাকা অবমাননা সব সংস্কার অন্তর্বর্তী সরকারের দ্বারা সম্ভব নয় : তারেক রহমান রাষ্ট্রপতি নির্বাচনসহ বেশ কয়েকটি সুপারিশ সংস্কার কমিশনের জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন আয়োজনের পরামর্শ বনভোজনের বাস বিদ্যুতায়িত, গাজীপুরে ইসলামিক ইউনিভার্সিটির ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চাই : জামায়াত আমির নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি আইসিসির

শেরপুরে স্ত্রী ও শ্বাশুড়িকে কুপিয়ে হত্যার মামলায় স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

মোঃ নাইমুর রহমান, শেরপুর
  • আপডেট : বুধবার, ৫ জুলাই, ২০২৩

শেরপুরে স্ত্রী ও শ্বাশুড়িকে কুপিয়ে হত্যার চাঞ্চল্যকর মামলায় মো. ইসমাইল হোসেন (৪০) নামে এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত।

৫ জুলাই বুধবার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ তৌফিক আজিজ একমাত্র আসামির উপস্থিতিতে ওই রায় ঘোষণা করেন। একইসাথে রায়ে আসামি ইসমাইলকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ইসমাইল পার্শ্ববর্তী ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলার চরগোরকপুর গ্রামের মৃত তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে ও এক সন্তানের জনক। ঘটনার পর থেকেই সে হাজতবাসে রয়েছে। আদালতে রায় প্রকাশের সময় ইসমাইল হোসেন ছিলেন একেবারেই ভাবলেশহীন।

চাঞ্চল্যকর ওই জোড়া খুনের মামলার রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে জেলা দায়রা আদালতের পিপি এ্যাডভোকেট চন্দন কুমার পাল জানান, ইসমাইল হোসেন তার স্ত্রী নালিতাবাড়ী উপজেলার কাকরকান্দি এলাকার মৃত আমজাদ হোসেনের মেয়ে বিলকিস আক্তার (২৫) ও একমাত্র কন্যা সন্তানকে নিয়ে ঢাকায় গার্মেন্টসে চাকরি করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। ২০১৫ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর ঈদুল আজহা উপলক্ষে বিলকিস সন্তানকে নিয়ে ভাই আব্দুল খালেকের বাড়িতে বেড়াতে আসেন। পরবর্তীতে ২৬ সেপ্টেম্বর রাতে ইসমাইল ওই বাড়িতে গেলে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে স্ত্রী বিলকিস আক্তারের সাথে তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে ধারালো দা দ্বারা তাকে উপুর্যপরি কোপাতে থাকে। বিলকিসের চিৎকারে শ্বাশুড়ি খালেদা বেগম (৫০) ও মামাশ্বশুর নুরুল আমিন, প্রতিবেশি দাদাশ্বশুর কুদ্দুস মিয়া ও চাচীশ্বাশুড়ি সেলিমা বেগম অজুফা এগিয়ে গেলে তাদেরকেও কুপিয়ে রক্তাক্ত করে। ওই অবস্থায় আশেপাশের লোকজন এগিয়ে গিয়ে ইসমাইলকে হাতেনাতে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। অন্যদিকে স্ত্রী-শ্বাশুড়িসহ জখমী ৫ জনকে গুরুতর অবস্থায় প্রথমে নালিতাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে পরদিন বিলকিস আক্তার মারা যান। এরপর শ্বাশুড়িসহ ৪ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে দুদিন পর শ্বাশুড়িও মারা যায় এবং অন্য ৩ জন পঙ্গুত্ব বরণ করেন।

ওই ঘটনায় ২৭ সেপ্টেম্বর গৃহবধূ বিলকিস আক্তারের বড়ভাই আব্দুল খালেক বাদী হয়ে ইসমাইল হোসেনকে একমাত্র আসামি করে নালিতাবাড়ীতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে ২ অক্টোবর ইসমাইল আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। তদন্ত শেষে ২০১৬ সালের ২৮ মে একমাত্র আসামি ইসমাইলের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নালিতাবাড়ী থানার এসআই নজরুল ইসলাম।

২০১৯ সালের ১০ জানুয়ারি বিচারিক আদালতে আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন এবং পরবর্তীতে সংবাদদাতা বাদী, জবানবন্দি গ্রহণকারী ম্যাজিস্ট্রেট, চিকিৎসকসহ ১৯ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ ও চলতি বছরের ৫ মার্চ উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানী গ্রহণ করা হয়। অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আদালত ইসমাইলকে সর্বোচ্চ দণ্ডে দণ্ডিত করেন।

এদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী জাহিদুল হক আধার জানান, রায়ের বিষয়ে তারা উচ্চ আদালতে আপীল করবেন।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২৩ আঙ্গর টিভি