সম্প্রতি সমুদ্রের নিচে ডুবে থাকা টাইটানিক জাহাজের ধ্বংসস্তূপ দেখতে গিয়ে পাঁচজন যাত্রী নিয়ে বিস্ফোরিত হয় সাবমেরিন টাইটান। এ ঘটনার প্রায় ১০ দিন পর আবারও টাইটানিকে যাওয়ার বিজ্ঞাপন দেয় ডুবোজাহাজ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ওশানগেট।
প্রতিষ্ঠানটি তাদের ওয়েবসাইটে এই বিজ্ঞাপন দিয়েছে বলে ব্রিটিশ গণমাধ্যম ইন্ডিপেনডেন্ট তাদের এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে।
ওশানগেট ওয়েবসাইটে জানায়, পরের বছর সমুদ্রের তলদেশে দুটি ভ্রমণের পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। প্রথমটি হবে ১২ জুন থেকে ২০ এবং দ্বিতীয়টি হবে ২১ জুন থেকে ২৯ জুন পর্যন্ত। যার টিকিটের মূল্য আড়াই কোটি টাকা। এই খরচের মধ্যে থাকছে একটি সাবমিসিবল ডাইভ, ব্যক্তিগত বাসস্থান, প্রয়োজনীয় সব প্রশিক্ষণ, সফরের সরঞ্জাম এবং জাহাজে থাকাকালীন সমস্ত খাবারের ব্যবস্থা।
প্রতিষ্ঠানটি জানায়, প্রথম দিন যাত্রীরা জাহাজের ক্রুদের সঙ্গে এবং জাহাজের ওঠার জন্য সমুদ্র তীরবর্তী শহর সেন্ট জনসে পৌঁছাবেন। এরপর যাত্রীদের আরএমএস টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষে নিয়ে যাবে। ৪০০ নটিক্যাল মাইল যাওয়ার পর যাত্রীরা সফরের কাজে নিয়োজিত আরেকটি জাহাজে দেখা পাবেন।
এর আগে ১৮ জুন পাঁচ যাত্রীকে নিয়ে যাত্র শুরু করে সাবমেরিন টাইটান। যাত্রা শুরুর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সেটি সমুদ্রগর্ভ থেকে নিখোঁজ হয়। প্রায় পাঁচ দিন পর সাবমেরিনটির খোঁজ মেলে। এতে মারা যান ওশানগেটের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা স্টকটন রাশ, ব্রিটিশ ধনকুবের হামিশ হার্ডিং, ফরাসি বিশেষজ্ঞ পল-হেনরি নারজিওলেট এবং পাকিস্তানি ব্যবসায়ী শাহজাদা দাউদ এবং তাঁর ছেলে সুলেমান। এ ঘটনার পর অনির্দিষ্টকালের জন্য সাবমেরিন ভ্রমণের কার্যক্রম বন্ধ করা হয়।
উল্লেখ্য, টাইটানিক জাহাজটি ধ্বংসাবশেষ আটলান্টিক মহাসাগরের ১ হাজার ৬০০ ফুট গভীরে রয়েছে। যা সমুদ্রের পৃষ্ঠ থেকে দুই মাইলেরও বেশি (প্রায় চার কিলোমিটার) নিচে। এটি নিউফাউন্ডল্যান্ডের উপকূল থেকে ৪০০ মাইল দূরে অবস্থিত।