লাইফস্টাইল ডেস্ক
অন্যের সঙ্গে ভাগাভাগি করার অভ্যাস শেখানো হয় আমাদের পরিবারেই। এতে করে হৃদ্যতা বাড়ে, সম্পর্ক সুন্দর থাকে। ছোটবেলা থেকে আমরা এমনটা শিখে বড় হয়েছি। স্কুলে টিফিন ভাগ করে খাওয়া কিংবা কলম-খাতা শেয়ার করা খুব স্বাভাবিক ঘটনা। বন্ধুর জিনিস ব্যবহার করাই যায়, কিন্তু মাস্ক? এমনকিছু জিনিস আছে যা ভাগাভাগি না করাই ভালো। সেসব ব্যবহারে দেখা দিতে পারে শারীরিক নানা সমস্যা। যেসব জিনিস অন্যের সঙ্গে শেয়ার করা যায় না, মাস্ক তার মধ্যে একটি।
কোনো কোনো পরিবারের সদস্যরা হয়তো একই মাস্ক ঘুরিয়ে ফিরিয়ে ব্যবহার করেন। তারা মনে করেন যে ‘আমরা একই পরিবারের সদস্য। একই সঙ্গে থাকি। তাহলে একই মাস্ক ঘুরিয়ে ফিরিয়ে সমস্যা কোথায়?’ কিন্তু এটাই বড় সমস্যা। মানুষটি যতই কাছের হোক, কখনো অন্যের সঙ্গে নিজের মাস্ক শেয়ার করবেন না। তেমনই আপনার ব্যবহৃত মাস্কও অন্য কাউকে পারতে দেবেন না।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন যে মাস্ক হলো অন্তর্বাস বা টুথব্রাশের মতোই একান্ত ব্যক্তিগত একটি জিনিস। এটি কোনোভাবেই কারোসঙ্গে শেয়ার করা যায় না। ভালো করে ধোয়ার পরেও অন্যের মাস্ক ব্যবহার করলে তা স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর হতে পারে।
মাস্ক আমাদের মুখ ও নাক ঢেকে রাখে। তাই ধোয়ার পরেও মাস্কের গায়ে ব্যাকটেরিয়া লেগে থাকার ভয় থাকে। অন্যের মাস্ক ব্যবহার করলে একজনের শরীরের জীবাণু অন্যের শরীরে প্রবেশ করতে পারে।
এছাড়াও মাস্ক এমন হওয়া উচিত যা আপনার মুখ ও নাক ভালোভাবে ঢেকে রাখে। একজনের মাস্ক অন্যজন ব্যবহার করলে তা ঠিকমতো ফিট নাও করতে পারে। মাস্ক ঠিকমতো নাক-মুখ ঢেকে না রাখলে তা সংক্রমণ থেকে সুরক্ষা দেবে না।
অন্যের মাস্ক যেন ব্যবহার করতে না হয় সেজন্য প্রত্যেকে নিজের জন্য ৪-৫টা মাস্ক রাখুন। নিয়মিত সেগুলো ধুয়ে নিয়ে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে ব্যবহার করুন। বাকি সবাইকেও একই পরামর্শ দিন। তাতে করে প্রত্যেকেই সুরক্ষিত থাকবেন।