সময়মতো সন্তান না নিলে পরবর্তী সময়ে অনেক জটিলতা দেখা দেয়, যদিও সন্তান নেওয়ার সিদ্ধান্তটি পুরোপুরি নারী ও তার সঙ্গীর উপর নির্ভর করে।
একজন প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষের শরীরে প্রতিদিন প্রায় ৩০ কোটি শুক্রাণু তৈরি হয়ে থাকে। অন্যদিকে একটি মেয়েশিশু জন্মের সময়ে নির্দিষ্টসংখ্যক ডিম্বাণু নিয়ে জন্মে।
প্রতি মাসের মাসিক চক্রে একটি করে ডিম্বাণু পরিপক্ব হয়, এর সঙ্গে আরও কিছু ডিম্বাণু এই প্রক্রিয়ায় পরিপক্ব হওয়ার আগেই নষ্ট হয়ে যায়। মেয়েদের বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ডিম্বাণুর সংখ্যা কমতে থাকে।
বয়স বেড়ে চলার সঙ্গে সঙ্গে প্রজনন ক্ষমতা কমতে থাকে। কারণ, জন্মের পর নারীদের শরীরে নতুন কোনো ডিম্বাণু তৈরি হয় না। একটি মেয়েশিশুর জন্মের সময় প্রথম দিকে ডিম্বাশয়ে ডিম্বাণুর পরিমাণ থাকে ১০ থেকে ২০ লাখ।
ধীরে ধীরে সেই শিশু প্রাপ্তবয়স্ক হয় বা মাসিকের সময় হয়, তখন মেয়েদের ডিম্বাণুর পরিমাণ হয় ৪০ লাখ। গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, মেয়েদের জন্য ২৫ বছর বয়সের মধ্যে প্রথম সন্তান নেওয়া উত্তম।
ডা. আয়শা আক্তার জানান, ৩০ বছর পেরিয়ে গেলে প্রজননক্ষমতা প্রায় ৫০ শতাংশ কমে যায়। কারণ, ৩৫ বছর পর ডিম্বাণুর সংখ্যা বেশি কমে যায়। যদি ৩২ এর পর প্রথম সন্তান জন্মদান করে, তা হলে জন্মগত ত্রুটিযুক্ত এবং ডাউন সিনড্রোম বেশি হয় এবং ৩২ বছর বয়স থেকেই উর্বরতা কমতে শুরু করে।
বেশি বয়সে গর্ভধারণের কারণে উচ্চরক্তচাপ ও গর্ভকালীন ডায়াবেটিসের মতো ঝুঁকি বাড়তে শুরু করে। ৪০ বছরের বেশি বয়স্ক নারীদের গর্ভপাতের ঝুঁকি বেশি থাকে।