1. najmush71@gmail.com : admin : Najmush Shakeer
  2. munir2002lubnan@gmail.com : Munirul Huq Khan : Munirul Huq Khan
মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৩৬ অপরাহ্ন

ত্রিভুজ প্রেমের জেরে বহিরাগত দুই প্রেমিক পক্ষের মারামারি, আহত ৩ শিক্ষার্থী

রিপোর্টার
  • আপডেট : শুক্রবার, ২ জুন, ২০২৩

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) ত্রিভুজ প্রেমের ঘটনাকে কেন্দ্র করে বহিরাগত দুপক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে।

শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জব্বারের মোড় রেলক্রসিং সংলগ্ন তৃপ্তি হোটেলের পাশে এ ঘটনার সূত্রপাত হয়।

এ সময় সমাধান করতে গিয়ে মারধরের শিকার হন বাকৃবির দুজন শিক্ষার্থী। এদের মধ্যে একজন মাথায় গুরুতর আঘাত পান। এ ছাড়া আরও এক ব্যক্তি আহত হয়েছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. শফিকুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এ ঘটনার পর ক্যাম্পাসজুড়ে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। কীভাবে একটি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাস্পাসে ঢুকে বহিরাগতরা অতর্কিত হামলা চালাতে পারে, এমন প্রশ্ন সবার মুখে মুখে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অনেক শিক্ষার্থী।

একাধিক সূত্র জানায়, আহত তিনজনের মধ্যে দুজন বাকৃবির পশুপালন অনুষদের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। আহত অপরজন ত্রিশালের বাসিন্দা মাহমুদ হোসেন প্রিন্স। এ ঘটনায় জড়িত দুজনকে আটক করা হলেও বাকিরা পালিয়ে যায়। আটকরা ময়মনসিংহ বড় বাজারের মো. তাহমিদ আনন ও মাহমুদুল হাসান নিঝুম। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীকে মারধরের একপর্যায়ে আশপাশের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জড়ো হয়ে তাদের মারধর শুরু করে। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মীরা তাদের উদ্ধার করে নিরাপত্তা শাখায় নিয়ে যায়।

আহত মাহমুদ হোসেন প্রিন্স বলেন, ময়মনসিংহের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম কলেজের মাহমুদা নামের এক মেয়ের সঙ্গে আমার অনেক দিনের প্রেমের সম্পর্ক। ওই মেয়ে আমাকে দেখা করার জন্য আজ বাকৃবিতে আসতে বলে। সেজন্য ত্রিশাল থেকে এখানে এসেছি। কিন্তু বাকৃবি ক্যাম্পাসে তখন মাহমুদা উপস্থিত ছিল না। এ সময় মাহমুদার অপর প্রেমিক ও তার বন্ধুরা আমার সঙ্গে বাজে ব্যবহার করে এবং আমাকে হুমকি দেয়। একপর্যায়ে তারা আমাকে মারধর শুরু করে। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আমার ভাইয়ের বন্ধুরা উদ্ধার করতে এলে তাদেরও মারধর করা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের চিফ মেডিকেল অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) ডা. মো. সাঈদুর রহমান বলেন, তিনজনকে আহতাবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয়ের হেলথ কেয়ার সেন্টারে নিয়ে আসা হয়। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে একজন মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে। তার মাথায় কয়েকটি সেলাই দেওয়া হয়েছে। অপর দুজনের মধ্যে একজন হাতে এবং অন্যজন পায়ে আঘাত পেয়েছে। তাদেরও ব্যান্ডেজ দেওয়া হয়েছে।

ঘটনায় জড়িতদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মীরা তাদের একটি কক্ষে আবদ্ধ রেখে পরে যোগাযোগ করার কথা জানান। কিন্তু পরে কোতোয়ালি থানার মোবাইল টিম কোনো রকম কথা বলার সুযোগ না দিয়ে পুলিশের হেফাজতে জড়িতদের উদ্ধার করে নিয়ে যায়।

এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ড. মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, আজ দুপুরে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। জড়িত দুজনকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা শাখায় জিজ্ঞাসাবাদ করে কোতোয়ালি থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২৩ আঙ্গর টিভি