নিজস্ব প্রতিবেদক
কুয়েতের কর্তৃপক্ষ সংসদ সদস্য কাজি শহিদ ইসলাম পাপুলকে স্থানীয় অপরাধী হিসাবে বিচার করছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এই তথ্য জানিয়েছেন। সদ্য কুয়েত সফর করে আসা পররাষ্ট্রমন্ত্রী বুধবার নিজের দফতরে বলেন, কুয়েতে একজন সংসদ সদস্যের বিচার হচ্ছে এবং সেটি নিয়ে আমাদের কোনও অস্বস্তি নেই।
পাপুল বা তার পরিবার কেউই কূটনীতিক পাসপোর্ট নেননি জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, তিনি স্থানীয় ব্যবসায়ী হিসেবে সেখানে কাজ করছিলেন এবং সেই কারণে তাকে একজন স্থানীয় অপরাধী হিসাবে চিহ্নিত করা হচ্ছে।
কুয়েতে প্রয়াত আমিরের জন্য শোক বার্তা ও নতুন আমিরকে অভিনন্দন জানানোর জন্য ৪ থেকে ৫ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত হিসেবে কুয়েত সফর করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। সেখানে নতুন আমির ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।
পাপুল ইস্যুতে কুয়েত সরকারের কারও সঙ্গে মন্ত্রীর আলোচনা হয়নি দাবি করে মোমেন জানান, তবে যেটা আমি শুনেছি, উনি অনেক লোককে চাকরি দিয়েছিলেন এবং কুয়েতেও কিছু দুষ্ট লোক আছে। এখন তারা খুঁজে খুঁজে বের করছে যে তিনি কাউকে চাকরি দিয়েছেন কিনা। এখন তারা তাদের মনিটর করছে। ভালো হলে রাখছে, না হলে বের করে দিচ্ছে। ফলে আমাদের কিছু লোকের চাকরি হারানোর আশঙ্কা আছে।
উল্লেখ্য, গত ৭ জুন মানবপাচার, ভিসা জালিয়াতি ও অর্থপাচারের অভিযোগে লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য পাপুলকে গ্রেফতার করে কুয়েতের পুলিশ। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের পরে তারা দাবি করেছে, বাংলাদেশের ওই সংসদ সদস্য মানুষকে প্রতারিত করে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন। ঘুষ, উপহার ও অন্যান্য সুযোগের বিনিময়ে এই কাজে তাকে কুয়েতের প্রভাবশালী সরকারি কর্মকর্তারাও সহায়তা করেছে।
এদিকে, কুয়েতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় বাংলাদেশে একটি তেল শোধনাগার স্থাপনের প্রস্তাব দিয়েছেন মোমেন। তিনি বলেন, আমাদের দেশে তেল শোধনাগার বানানোর প্রস্তাব দিয়েছি। তারা বলেছে, এটি উত্তম প্রস্তাব। তারা জানালো, তারা দক্ষিণ কোরিয়াতে একটি রিফাইনারি বানানোর চেষ্টা করছে।
কুয়েতে বাংলাদেশিদের যাওয়ার বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, আমি তাদের জানিয়েছি সৌদি আরব, কাতার, ওমান, সংযুক্ত আরব আমিরাত তাদের দরজা উন্মুক্ত করেছে।
তিনি বলেন, কুয়েতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানালেন তারা দুই দিন পরে অর্থাৎ আজ রাতে তারা বসবেন। তারা জানালেন, তারা খুব নিয়ন্ত্রিত পদ্ধতিতে কাজ করছেন।