কালবৈশাখী ঝড়ের তান্ডবে ময়মনসিংহের গৌরীপুরের চাঁন্দের সাটিয়া মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের পাঠদান ভবন বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। বিদালয়ের ফান্ড না থাকায় পাঠদান ভবন সংস্কার করা হয়নি। এতে করে বিদ্যালয়ের দুই শতাধিক শিক্ষার্থীর স্বাভাবিক পাঠদান ব্যহত হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
স্থানীয় ও বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২০ এপ্রিল গৌরীপুর উপজেলার গৌরীপুর ইউনিয়নের মুলাকান্দি গ্রামের ওপর দিয়ে বয়ে যায় কালবৈশাখী ঝড়। ঝড়ের তান্ডবে মুলাকান্দি গ্রামের চাঁন্দের সাঁটিয়া মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশে থাকা রেইনট্রি গাছ ভেঙে বিদ্যালয়ের আধাপাকা ভবনের ওপর পড়ে যায়।
এতে বিদ্যালয়ের আধাপকা ভবনের টিনের চাল ধসে পড়ে সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণির দুটি পাঠদান কক্ষ বিধ্বস্ত হয়। ক্ষতিগ্রস্ত হয় বৈদ্যুতিক লাইন সহ বেঞ্চ- টেবিল।
১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠিত চাঁন্দের সাঁটিয়া মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রায় সাতশত শিক্ষার্থী রয়েছে। এর মধ্যে সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীর সংখ্যা দুইশত। রমজান ও ঈদের ছুটি শেষে আগামী ৩০ এপ্রিল বিদ্যালয়ের স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু হবে। শিক্ষার্থীদের স্বাভাবিক পাঠদান নিশ্চিত করতে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও অভিভাবকরা ছুটি শেষ হওয়ার আগেই বিধ্বস্ত ভবন দুটি সংস্কার করে পাঠদানের উপযোগী করার দাবি জানিয়েছেন প্রশাসনের কাছে।
চাঁন্দের সাঁটিয়া মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক প্রমোদ চন্দ্র ভৌমিক বলেন, আগামী ৩০ এপ্রিল বিদ্যালয় খোলা হবে। এরপর আমাদের অর্ধবার্ষিক পরীক্ষাও সন্নিকটে। দ্রুত ভবন সংস্কার করার জন্য প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছি।
চাঁন্দের সাঁটিয়া মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি কামাল হোসেন বলেন, এটা বেসরকারি বিদ্যালয়, আমাদের ফান্ডে টাকা নেই। ভবন সংস্কার করে স্বাভাবিক পাঠদান নিশ্চিত করতে আমরা প্রশাসনের কাছে সহযোগিতা কামনা করছি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফৌজিয়া নাজনীন বলেন, ঝড়ে বিধ্বস্ত ভবনের বিষয়ে আমি খোঁজ নিয়েছি। সংশ্লিষ্ট বিভাগকে মেরামত করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।