1. najmush71@gmail.com : admin : Najmush Shakeer
  2. munir2002lubnan@gmail.com : Munirul Huq Khan : Munirul Huq Khan
বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০১:২৬ পূর্বাহ্ন

জিল হোসেনকে ২ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে বাকৃবিকে হাইকোর্টের নির্দেশ

রিপোর্টার
  • আপডেট : বুধবার, ৮ মার্চ, ২০২৩

বাংলাদেশ কৃৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র জিল হোসেন ৭২ বয়সে মৃত্যুর এক বছর পর আদালতের মাধ্যমে প্রথমে স্নাতকের সনদপ্রাপ্তি ও পরে ক্ষতিপূরণ দাবির ন্যায়বিচার পেলেন।

মঙ্গলবার সকালে বিচারিক আদালতের দেওয়া দুই কোটি টাকা ক্ষতিপূরণের রায় বহাল রাখে হাইকোর্ট। আদালত বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের খামখেয়ালিতেই ধ্বংস হয়েছে জিল হোসেনের জীবন।

এসময় আদালত আরও বলেছেন, জিল হোসেনের স্ত্রী ও তার আট ছেলেমেয়ে এই অর্থ পাবে। এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের আইনজীবী চঞ্চল কুমার বিশ্বাস জানান, আপিল করা হবে কিনা সে বিষয়ে পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

ময়মনসিংহের বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯৭৩ সালে প্রকাশিত স্নাতক পরীক্ষার ফলে অকৃতকার্য হন শিক্ষার্থী জিল হোসেন। কারণ কর্তৃপক্ষ তার প্রাপ্ত ভগ্নাংশ যোগ করেননি।

পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলে আবেদন করেও লাভ হয়নি। দুই বছর পর তাকে বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিচারিক আদালতে গিয়ে জয়ী হন জিল হোসেন। এর বিরুদ্ধে হাইকোর্টে যায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

শুনানি শেষে ১৯৮৬ সালে হাইকোর্ট তাকে সনদপত্র দিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে আদেশ দেয়। কিন্তু ১৯৯৭ সালে যখন জিল হোসেনের বয়স ৪৭ বছর তখন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাকে নম্বরপত্র দেয়।

এরপর ২০০০ সালে দুই কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করে মামলা করেন জিল হোসেন। বিচারিক আদালত তাকে ক্ষতিপূরণ দিতে রায় দেয়। এর বিরুদ্ধে ২০০৯ সালে আবারও হাইকোর্টের শরণাপন্ন হয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ২৫ লাখ টাকা জমা দেওয়ার শর্তসাপেক্ষে স্থগিতাদেশ দিলেও সে টাকা গতবছর জমা দেয় কর্তৃপক্ষ। এমনকি আপিল নিষ্পত্তিতেও কোন উদ্যোগ নেয়নি কর্তৃৃপক্ষ।

মঙ্গলবার সকালে বিচারিক আদালতের দেওয়া দুই কোটি টাকা ক্ষতিপূরণের রায় বহাল রাখে হাইকোর্ট। এ রায়ে সন্তুষ্ট হলেও জিল হোসেন হাইকোর্টের এ রায় দেখে যেতে পারেননি বলে আক্ষেপ রয়েছে তার ছেলে নুর মোহাম্মদের।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২৩ আঙ্গর টিভি