বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা) উদ্ভাবিত খরাসহিষ্ণু ও স্বল্পজীবনকালের ধানের জাত নিতে চায় ভুটান। এছাড়া হালুয়াঘাটের দুটি স্থলবন্দর ব্যবহারের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন ভুটানের রাষ্ট্রদূত মি. রিনচেন কোয়েনসিল।
ময়মনসিংহে তিন দিনের সফরে এসে ভুটানের রাস্ট্রদূত মি. রিনচেন কোয়েনসিল বুধবার বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। এদিকে দুপাক্ষিক কৃষি পণ্য বিনিময়ে ভুটানের কমলার জাত এনে গবেষণা করতে চায় বিনা।
বুধবার সকালে বিনার গবেষণা কার্যক্রম পরিদর্শেনে আসেন ভুটানের রাষ্ট্রদূত মি. রিনচেন কোয়েনসিল। এসময় বিনার মহাপরিচালক ড. মির্জা মোফাজ্জল ইসলামের নেতৃত্বে বিনা বিজ্ঞানীদের সাথে মতবিনিময় করেন ভুটানের রাষ্ট্রদূত। বিজ্ঞানীরা বিনা উদ্ভাবিত বিভিন্ন ফুল, ফল ও ফসলের জাত এবং গবেষণা কার্যক্রম সম্পর্কে ধারণা দেন। এছাড়া বিনার গবেষণা ল্যাব এবং গবেষণা কার্যক্রম পরিদর্শন করেন ভূটানের রাষ্ট্রদূত মি. কোয়েনসিল।
গবেষণা কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে ভুটানের রাষ্ট্রদূত জানান, বিনা উদ্ভাবিত ফসলের বিভিন্ন জাত নিয়ে তাদের আগ্রহ রয়েছে। বিশেষ করে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় খরা সহিষ্ণু এবং স্বল্প জীবনকালের বিনাধান বেশ কার্যকর হবে। এছাড়া দু’দেশের বাণিজ্য স¤প্রসারণে হালুয়াঘাটের গোবরাকুড়া ও কড়ইতলি স্থলবন্দর ব্যবহারে আগ্রহের কথাও জানান তিনি।
পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিউটের সাথে শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম বিনিময়ের ব্যাপারেও আগ্রহ প্রকাশ করেছেন ভুটানের রাষ্ট্রদূত।