নিজস্ব প্রতিবেদক
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ
গভীর সাগর থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে জ্বালানি তেল আনতে ইনস্টলেশন অব সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং (এসপিএম) উইথ ডাবল পাইপলাইন, চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা পর্যন্ত পাইপ লাইনে জ্বালানি তেল সরবরাহে আরও একটি প্রকল্প এবং তেলের পরিশোধন ও মজুদ বাড়াতে ইস্টার্ন রিফাইনারি (ইআরএল) ইউনিট-২ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে জ্বালানি বিভাগ। এই তিন প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন খোদ বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
তিনি বলেন, ‘প্রকল্প পরিচালকদের ব্যর্থতা বা অযোগ্যতার জন্য অনেক সময় প্রকল্প ব্যয় বেড়ে যায়। এর দায় মন্ত্রণালয় কেন নেবে?’ প্রকল্পের কাজ দ্রুত করতে মনিটরিং জোরদার করারও নির্দেশ দেন তিনি।
আজ মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) অনলাইনে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন ( বিপিসি) এর আওতায় বাস্তবায়নাধীন উন্নয়ন প্রকল্পের পর্যালোচনা সভায় প্রতিমন্ত্রী এই অসন্তোষের কথা বলেন।
ভার্চুয়াল এই অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মাঝে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আনিছুর রহমান ও বিপিসির চেয়ারম্যান মো. শামসুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘নির্ধারিত সময়ের আগেই দ্রুততার সঙ্গে প্রকল্প বাস্তবায়নে করতে হবে। প্রয়োজনে সমান্তরালভাবে অনেক কাজ একসঙ্গে করতে হবে।’
তিনি এ সময় প্রকল্পগুলো তদারকি করার জন্য মন্ত্রণালয় থেকে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা নিয়োগের নির্দেশ দেন।
সভায় জানানো হয়, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের ২০২০-২১ অর্থ বছরের এডিপি বরাদ্দ দুই হাজার ৯৬০ দশমিক ৪৮ কোটি টাকা। বরাদ্দের বিপরীতে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত ব্যয় ৬৬৪ দশমিক ৮৯ কোটি টাকা। ২০২০-২১ অর্থ বছরের বিপিসির আওতাধীন কোম্পানির এডিপি বরাদ্দ এক হাজার ৬৩৯ দশমিক ৪১ কোটি টাকা এবং প্রকল্প সংখা ১০টি।
এম এ হালিম