কিশোরগঞ্জের ভৈরবে এগারোসিন্দুর এক্সপ্রেস ট্রেনের ইঞ্জিন সংযুক্ত করতে গিয়ে ইঞ্জিনের ধাক্কায় একটি কোচ লাইনচ্যুত ও তিনটি কোচ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, এ সময় আহত হয়েছেন ট্রেনের অন্তত ১৫ জন যাত্রী।
এ ঘটনায় সহকারী পরিবহন কর্মকর্তা ঢাকা-১, সাজ্জাদুর রহমানকে প্রধান করে তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে, তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য তদন্ত কমিটিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে
শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) সকালে ভৈরব রেলওয়ে স্টেশনের ২ নম্বর ফ্ল্যাটফর্মের ৩ নম্বর লাইনে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা কিশোরগঞ্জগামী এগারোসিন্দুর এক্সপ্রেস ট্রেনটি দুর্ঘটনার শিকার হয়, এতে বিভিন্ন গন্তব্যের সহস্রাধিক যাত্রী চরম দুর্ভোগে পড়েন।
চালক আব্দুস সাত্তার তার সহযোগীকে ইঞ্জিন ঘোরানোর দায়িত্ব দিয়ে ২ নম্বর প্ল্যাটফর্মের একটি চায়ের দোকানে চা পান করতে যান, সিদ্দিকুর রহমান নামের অদক্ষ ওই সহযোগীর কারণেই ট্রেনটি দুর্ঘটনার শিকার হয় বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা
স্টেশন সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা কিশোরগঞ্জগামী এগারোসিন্দুর এক্সপ্রেস ট্রেনটি সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ভৈরব স্টেশনে পৌঁছে, পরে কিশোরগঞ্জ অভিমুখে ট্রেনটির ইঞ্জিন ঘুরিয়ে বগিতে সংযুক্ত করার সময় ট্রেনে সজোরে ধাক্কা দেয়, এতে একটি বগি লাইনচ্যুতসহ অপর তিনটি বগি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
এ সময় তিনটি বগির দরজা, জানালা, কাচ, যাত্রী ওঠার সিঁড়ি ও মেঝে ভেঙে চুরমার হয়, এ সময় ১২-১৫ জন যাত্রী আহত হন, আহতরা সরকারি হাসপাতালসহ বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নেন, ঘটনার তিন ঘণ্টা পর আখাউড়া থেকে উদ্ধারকারী রিলিফ ট্রেন এসে ক্ষতিগ্রস্ত বগিগুলো উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে ভৈরব রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার নুরুন্নবী বলেন, স্টেশনে ট্রেন আসার পর ট্রেনটি ইঞ্জিন ঘোরানোর সময় দুর্ঘটনায় পড়ে, ইঞ্জিনের ধাক্কায় ট্রেনে একটি বগির চারটি চাকা লাইনচ্যুত হয় এবং তিনটি বগি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। খবর দেওয়ার পর উদ্ধারকারী ট্রেন এসে বগিগুলো উদ্ধার করে।