লাইফস্টাইল ডেস্ক
জীবনে চলার পথে অনেক ধরনের ছোটখাট ভুল হয়ে যেতে পারে আমাদের, কারণ মানুষ মাত্রই ভুল। নিজের ভুল বুঝতে পারা কিংবা অনুশোচনাবোধের প্রয়োজন অবশ্যই আছে, তবে সেটা যেন মাত্রাতিরিক্ত না হয়ে যায়। সবসময় অপরাধবোধে দগ্ধ হতে থাকলে হতাশা গ্রাস করে। ভুল থেকে শেখার প্রয়োজন যেমন আছে, তেমনি সেই শিক্ষা নিয়ে এগিয়ে যাওয়া চাই সামনের দিকে।
অনুশোচনাবোধের সঠিক কারণ খুঁজে বের করুন
নিজেকে কেন দোষী ভাবছেন সেটা নিয়ে ভাবুন। অন্য কেউ আপনাকে দোষী বলছে বলে অনুশোচনায় ভুগছেন না তো? যদি সেটাই হয় তাহলে পুরো ব্যাপারটি নিয়ে আরও একবার ভেবে দেখুন। অন্য কারোর প্রত্যাশা আপনি পূরণ করতে পারবেন না সবসময়, তাই ব্যাপারটি ঝেড়ে ফেলে দিন। যদি নিজের কাছে নিজেকেই দোষী মনে হয়, তবেই ব্যাপারটিকে গুরুত্ব দিন।
ডায়েরি লিখুন
যে ব্যাপারগুলো আপনাকে কষ্ট দিচ্ছে সেগুলো নোট করে রাখুন ডায়েরিতে। কেন এমনটি করেছেন সেটাও লিখুন। এতে কিছুটা হলেও ভালো বোধ করবেন।
নিজেকে সময় দিন
হতাশা, অপরাধবোধকে দূরে সরিয়ে কিছু সময়ের জন্য হলেও নিজেকে সময় দিন। পছন্দের কাজ করুন। সম্ভব হলে দূরে কোথাও থেকে ঘুরে আসুন।
সবার আগে নিজেকে গুরুত্ব দিন
অনেকেই আমাদের জীবনে গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু নিজের থেকে নয়। নিজেকে হারিয়ে ফেলবেন না কখনও। সবার আগে নিজেকে গুরুত্ব দিন। কারণ নিজে ভালো না থাকলে আশেপাশের কাউকেই ভালো রাখতে পারবেন না।
ভুল শুধরে নিন
অপরাধবোধে না ভুগে সুযোগ থাকলে করে ফেলা ভুলগুলো শুধরে নিন। নিজে এগিয়ে যান পরিস্থিতি ঠিক করতে।
পরিস্থিতি শিকার হয়েছেন- ভাবতে পারেন এভাবেও
নিজের ভুল অবশ্যই আছে, কিন্তু পরিস্থিতিও অনুকূলে ছিল না। ভেবে দেখতে পারেন এভাবেও।
নিজেকে ক্ষমা করুন
অন্যের ক্ষমার চাইতেও গুরুত্বপূর্ণ নিজেকে ক্ষমা করা। নিজের ভুল বুঝতে পেরেছেন, নিজেকে ক্ষমা করার এটাই হতে পারে সবচেয়ে বড় কারণ।
‘না’ বলার অভ্যাস করুন
প্রতিদিন অন্তত একবার ‘না’ বলার প্র্যাকটিস করুন। এতে অযাচিত অপরাধবোধকে বিদায় জানাতে পারবেন সহজে।
নিজের ভালো দিকগুলো লিখে রাখুন
পয়েন্ট আকারে নিজের ভালো দিকগুলো টুকে রাখুন। বারবার পড়ুন, নিজেকে অপরাধী ভাববেন না।
ভবিষ্যতের কথা ভাবুন, পেছনে ফিরবেন না
কী কী ভুল করে ফেলেছেন সেটা নিয়ে না ভেবে সামনে যেন একই ভুল আর না হয় তা ভাবুন। ভুল থেকে শিক্ষা নিতে পেরেছেন, এটাকে ইতিবাচক ধরে এগিয়ে যান সামনে।
এম এ হালিম