নেত্রকোনার মদনে ঘটনার সাড়ে চার বছর পর স্কুলছাত্রী হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন করা হয়েছে। পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) চাঞ্চল্যকর এই হত্যা রহস্য উদ্ঘাটন করেছে।
আজ সোমবার দুপুর ১২টার দিকে সংবাদ সম্মেলন করে নেত্রকোনা পিবিআই এ তথ্য জানায়। নিহত শিশুটি চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী ছিল। শিশুটিকে ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে গলা টিপে হত্যা করা হয়।
নেত্রকোনা পিবিআইয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শাহীনুর কবির তাঁর কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জানান, ২০১৮ সালের ১৪ এপ্রিল সন্ধ্যার আগে মেয়েটি তার ছোট ভাইকে নিয়ে প্রতিবেশী জুয়েল মিয়ার বাড়ির সামনে খেলছিল। এ সময় আরেক প্রতিবেশী জোবায়ের রহমান (২৩) শিশুটিকে প্রলোভন দেখিয়ে কাছের একটি ঝোপে নিয়ে যান। সেখানে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা চালান। কিন্তু শিশুটি চিৎকার শুরু করলে তাকে গলা টিপে হত্যা করেন। পরে ওই দিন রাতে পরিবারের লোকজনের সঙ্গে জোবায়ের শিশুটিকে খোঁজাখুঁজির অভিনয় করেন।
রাত ১২টার দিকে তিনি শিশুটির লাশ সেখান থেকে পাশের একটি বিলে ফেলে দেন। পরদিন মেয়েটির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনার পরদিন নিহত শিশুটির বাবা বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামি করে থানায় মামলা করেন। সেখান থেকে এক বছর পর মামলাটি জেলা গোয়েন্দা পুলিশে (ডিবি) স্থানান্তর করা হয়। কিন্তু পুলিশ হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন করতে না পেরে ২০২০ সালের নভেম্বরে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেয়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহীনুর কবির জানান, বাদীর নারাজির পরিপ্রেক্ষিতে ২০২১ সালের ২৬ নভেম্বর আদালত নেত্রকোনা পিবিআইকে মামলাটির তদন্তভার দেন। পরে পিবিআইয়ের পরিদর্শক মো. নুরুল ইসলাম খান মামলাটির তদন্ত করে হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন করেন।
পরিদর্শক মো. নুরুল ইসলাম খান জানান, তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার ও তথ্য–উপাত্ত সংগ্রহ করে এই মামলার রহস্য উদ্ঘাটন করা হয়েছে। গত শনিবার সন্ধ্যায় নেত্রকোনা শহরের সাতপাই এলাকা থেকে আসামি জোবায়েরকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে গতকাল রোববার বিকেলে তাঁকে আদালতে হাজির করা হলে বিচারকের কাছে তিনি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। পরে আদালতের নির্দেশে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।