জামালপুর প্রতিবন্ধি ভিকটিম মোছাঃ ফালানি (২০) একজন হতদরিদ্র ঘরের ভিক্ষুকের সন্তান। ভিকটিমের মা ও বাবা উভয়ে ভিক্ষা করে জীবিকা নির্বাহ করে। ভিকটিমের ছোট ভাই (বাদী) জীবিকা নির্বাহের তাগিদে কৃষি কাজসহ মানুষের বাড়ীতে কাজ করেন। সংসারের অন্যান্য খরচ ও প্রতিবন্ধি ভিকটিমের ভরণ পোষনের জন্য তাহার মা ও বাবা ভিক্ষা করেন।
ঘটনার দিন ১৬/১২/২০২২ তারিখ বেলা অনুমান ১২:০০ ঘটিকার সময় জীবিকার তাগিদে সবাই নিজ নিজ কাজে বেরিয়ে পরে। উক্ত সময়ে বাড়ীতে কেউ না থাকার সুযোগে লম্পট ভিকটিমের প্রতিবেশী চাচা আসামী রেজাউল করিম (২৫), পিতা-নুরুল ইসলাম, সাং- পশ্চিম আড়ংহাটি, থানা- জামালপুর সদর, জেলা- জামালপুর, ভিকটিমের সাথে কথা বলবে বলিয়া বাড়ীতে ঢুকে ভিকটিমকে তাহার নিজ বসতঘরে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ধর্ষণের পর ভিকটিম উক্ত ঘটনার কথা তার ভাবী এবং চাচীকে জানায়। পরবর্তীতে ভিকটিমের পিতা-মাতা বাড়ীতে আসিলে তাহার ভাবী ও চাচী এই ন্যাক্কারজনক ঘটনা ভিকটিমের পিতা-মাতাকে জানায়।
এই ঘটনাটি জানাজানি হলে বিবাদীগণ অসহায় দরিদ্র ভিকটিমের পরিবারকে বিভিন্নভাবে প্রাণনাশের হুমকি, ভয়ভীতি প্রদর্শণ করে। পরবর্তীতে ভিকটিমের ভাই র্যাব-১৪, সিপিসি-জামালপুর ক্যাম্পে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। জামালপুর সদর থানায় গত ২১/১২/২০২২ ইং তারিখে সময় ১৩:০৫ ঘটিকায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার সংবাদ প্রাপ্তির পর থেকে র্যাব-১৪, সিপিসি-১, জামালপুর ক্যাম্প ঘটনাটি ছায়া তদন্ত শুরু করে আসামী গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যহত রাখে।
পরবর্তীতে বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করে আসামীর অবস্থান নিশ্চিত করে র্যাব-১৪, সিপিসি-১, জামালপুর ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার আশিক উজ্জামান এর নেতৃত্বে জামালপুর ক্যাম্পের একটি অভিযানিক দল অদ্য ২৫/১২/২০২২ ইং তারিখ অনুমান ০৪:৩০ ঘটিকায় জামালপুর জেলার মেলান্দহ থানাধীন কাপাশহাটিয়া গ্রামস্থ ধৃত আসামীর ভগ্নিপতি মোঃ মিস্টার আলি এর বসতঘর হতে আটক করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধৃত আসামী উক্ত ঘটনার বিবৃত দেয় এবং সত্যতা স্বীকার করে। ধৃত আসামীকে জামালপুর সদর থানার মামলা নং-৫৮/১০৭৭, তারিখ-২১/১২/২০২২ ইং, ধারা-২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন (সংশোধনী/২০২০) এর ৯(১) মূলে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
এ ধরণের অপরাধের বিরুদ্ধে র্যাবের অভিযান অব্যাহত থাকবে।