আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে সাধারণ ক্ষমার আবেদন করেছেন সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান।
ক্ষমা চেয়ে মুরাদের লিখিত আবেদনটি আজ সকাল ১১টায় ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে জমা দেন তার ব্যক্তিগত সহকারী জাহিদ নাঈম। দলের উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান চিঠিটি গ্রহণ করেন।
জাহিদ নাঈম বলেন, ডা. মুরাদ হাসানের আবেদনপত্রটি আজ আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে জমা দেওয়া হয়েছে।
আবেদনে মুরাদ বলেছেন, তার পিতা মহান মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট মতিয়র রহমান তালুকদার ছিলেন জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি।
‘আমি একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে, আমি দৃঢ় প্রত্যয়ে অঙ্গীকার করতেছি যে ভবিষ্যতে এমন কোনো কর্মকাণ্ড করব না, যার ফলে আপনার বিন্দুমাত্র সম্মানহানি হয়। আমাকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সকল কার্যক্রমে অংশগ্রহণের সুযোগ প্রদান করে বাধিত করবেন।’
জামালপুর-৪ সরিষাবাড়ী আসনের সংসদ সদস্য মুরাদ হাসান বর্তমানে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য।
একজন চিত্র নায়িকার সঙ্গে আপত্তিকর ফোনালাপকে কেন্দ্র করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ২০২১ সালের ৭ ডিসেম্বর প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন মুরাদ। ফোনালাপ ফাঁস হওয়ার আগে এক ভিডিও সাক্ষাৎকারে তিনি খালেদা জিয়া ও তার নাতনি জাইমা রহমানকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ কথা বলেছিলেন।
প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগের পর একইদিনে মুরাদকে জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদকের পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।