নয়াপল্টনে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় পল্টন থানার মামলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। এ নিয়ে চতুর্থবারের মতো তাদের জামিন আবেদন নাকচ হলো।
বুধবার (২১ ডিসেম্বর) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আসাদুজ্জামানের আদালতে আসামিদের পক্ষে এ জামিন আবেদন করেন আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেসবাহ। শুনানি শেষে বিচারক তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন।
এর আগে, গত ১৫ ডিসেম্বর ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন শুনানি শেষে আসামিদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন। তার আগে ১২ ডিসেম্বর মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসসহ ২২৪ নেতাকর্মীর জামিন নামঞ্জুর করেছিলেন আদালত।
জামিন নামঞ্জুর হওয়া উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক মো. আব্দুস ছালাম, বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এনি, সাবেক এমপি মো. ফজলুল হক মিলন, যুগ্ম মহাসচিব খাইরুল কবির খোকন ও সাবেক এমপি সেলিম রেজা হাবিব।
গত ৭ ডিসেম্বর বিকেলে নয়াপল্টনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়। এতে একজন নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হন। সংঘর্ষের ঘটনায় ৪৭৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত দেড় থেকে দুই হাজার বিএনপি নেতাকর্মীকে আসামি করে পুলিশ বাদী হয়ে পল্টন মডেল থানায় মামলা করে। পরদিন গত ৮ ডিসেম্বর রাতে ফখরুল ও আব্বাসকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ। এরপর ৯ ডিসেম্বর তাদের আদালতে হাজির কর হয়। এসময় মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক তরিকুল ইসলাম। অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা জামিন আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিম জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।