1. najmush71@gmail.com : admin : Najmush Shakeer
  2. munir2002lubnan@gmail.com : Munirul Huq Khan : Munirul Huq Khan
বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৫১ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
দেশের স্থিতিশীলতার জন্য জাতীয় ঐক্য দরকার : প্রেস সচিব সড়ক দুর্ঘটনার কবলে হাসনাত-সারজিস, দুমড়ে-মুচড়ে গেল গাড়ি প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যমুনায় বিএনপির ৫ সদস্যের প্রতিনিধি দল ইসকন নিষিদ্ধ ও আইনজীবী হত্যাকারীদের গ্রেফতারের আলটিমেটাম হাসনাত-সারজিসের মার্কিন দূতাবাসে ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিয়ে বাসায় ফিরেছেন খালেদা জিয়া স্ত্রী হত্যা মামলায় এসপি বাবুল আক্তারের জামিন চট্টগ্রাম আদালতের কার্যক্রম বন্ধ বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি দুর্নীতি মামলায় খালাস পেলেন খালেদা জিয়া দুপুরে শহীদ মিনারে সমাবেশ করবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এরা কারা, কি পরিচয় এদের: ইসকন সম্পর্কে হাইকোর্ট

আজ ১০ ডিসেম্বর ময়মনসিংহ মুক্ত দিবস

রিপোর্টার
  • আপডেট : শনিবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০২২

অন্ধকার ভেদ করে উঠলো নতুন ভোরের সূর্য। আকাশছোঁয়া গরিমা নিয়ে উড়লো লাল-সবুজের বিজয় পতাকা। অন্যরকম এক সকাল। মুক্ত আকাশের বিজয়ের প্রতিধ্বনি। জয় বাংলার বজ্রতুল্য উচ্চারণ সবার কন্ঠে। স্মরণকালের ইতিহাস সৃষ্টিকারী বিজয় মিছিল। অগ্নিদীপ্ত উল্লাসে বিজয় আনন্দে মেতে উঠলো ময়মনসিংহবাসী।

দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধে ১৯৭১ সালের ১০ ডিসেম্বরের দৃশ্যপট ছিল এমনই। এইদিনে মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় মিত্রবাহিনী যৌথভাবে পাকসেনাদের কবল থেকে ময়মনসিংহকে মুক্ত করে।

১৯৭১ সালের ৩ ডিসেম্বর ১১ নম্বর সেক্টরের এফ জে মুক্তিবাহিনী এবং ভারতীয় মিত্রবাহিনীর ১৩ রাজপুত রেজিমেন্ট ও ৯৫ ব্রিগেডের ৫৭ মাউন্ট ডিভিশন যৌথভাবে ময়মনসিংহ অঞ্চলে অবস্থানরত হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধের পরিকল্পনা করে। পরে মুক্তিবাহিনী সীমান্ত ঘেঁষা উপজেলা হালুয়াঘাট দিয়ে যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়। মুক্তিবাহিনীর আক্রমণে দিশেহারা পাকিস্তানি সেনারা টিকতে না পেরে পিছু হটে।

৯ ডিসেম্বর পাকিস্তানিরা প্রথমে ফুলপুর ও পরবর্তীতে তারাকান্দা, শম্ভ‍ূগঞ্জ ও ময়মনসিংহ শহর ছেড়ে টাঙ্গাইল জেলা হয়ে ঢাকায় পালিয়ে যেতে শুরু করে। তবে পাক সেনারা পালিয়ে যাওয়ার আগে স্থানীয় রাজাকার ও আল বদরদের সহায়তায় অসংখ্য মানুষকে হত্যা করে। কোনো ধরনের বাধা ছাড়াই ১০ ডিসেম্বর সকালে হালুয়াঘাট থেকে পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদ পার হয়ে ময়মনসিংহ শহরে প্রবেশ করতে থাকেন মুক্তিযোদ্ধারা।

মিত্রবাহিনীর প্রধান ব্রিগেডিয়ার সানথ সিং বাবাজী ও মুক্তিবাহিনীর প্রধান অধ্যক্ষ মতিউর রহমানের নেতৃত্বে শহরে প্রবেশ করেন। তাদের নেতৃত্বেই শুরু হয় বিজয় মিছিল। চারদিক থেকে বিজয়ের আনন্দে আবাল বৃদ্ধরা যোগ দেয় মুক্তির এ আনন্দ মিছিলে। হাজার হাজার মানুষ তাদের স্লোগান দিয়ে সার্কিট হাউজে গিয়ে মিলিত হয়।

সাদা-কালো একটি ছবি। দৃঢ় পায়ে উল্লাস-ধ্বনি করতে করতে এগিয়ে আসছে বিজয় মিছিল। মিছিলের অগ্রভাগে পাশাপাশি হাঁটছিলেন মিত্রবাহিনীর প্রধান ব্রিগেডিয়ার সানথ সিং বাবাজী এবং মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ মতিউর রহমান। তারা দুইজনই ছিলেন পাশাপাশি। তাদের পাশে, পেছনে যেন ভেঙে পড়ছে মানুষ। সবার কন্ঠে এক ধ্বনি ‘জয় বাংলা।’

দীর্ঘ ৪৯ বছর আগে তোলা মুক্ত ময়মনসিংহের বিজয় মিছিলের সেই ছবিই মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে গৌরবোজ্জ্বল সাক্ষী।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২৩ আঙ্গর টিভি