1. najmush71@gmail.com : admin : Najmush Shakeer
  2. munir2002lubnan@gmail.com : Munirul Huq Khan : Munirul Huq Khan
বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৩০ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
দেশের স্থিতিশীলতার জন্য জাতীয় ঐক্য দরকার : প্রেস সচিব সড়ক দুর্ঘটনার কবলে হাসনাত-সারজিস, দুমড়ে-মুচড়ে গেল গাড়ি প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যমুনায় বিএনপির ৫ সদস্যের প্রতিনিধি দল ইসকন নিষিদ্ধ ও আইনজীবী হত্যাকারীদের গ্রেফতারের আলটিমেটাম হাসনাত-সারজিসের মার্কিন দূতাবাসে ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিয়ে বাসায় ফিরেছেন খালেদা জিয়া স্ত্রী হত্যা মামলায় এসপি বাবুল আক্তারের জামিন চট্টগ্রাম আদালতের কার্যক্রম বন্ধ বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি দুর্নীতি মামলায় খালাস পেলেন খালেদা জিয়া দুপুরে শহীদ মিনারে সমাবেশ করবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এরা কারা, কি পরিচয় এদের: ইসকন সম্পর্কে হাইকোর্ট

এসএসসির ফলাফলে ছেলের চেয়ে এগিয়ে মা

উবায়দুল হক, ময়মনসিংহ
  • আপডেট : বুধবার, ৩০ নভেম্বর, ২০২২
পাসকৃত মা-ছেলেকে মিষ্টিমুখ করাচ্ছেন প্রতিবেশী ও মমেক হাসপাতালের চিকিৎসক হারুন আল মাকসুদ

কৃষক বাবার অভাব-অনটনের সংসারে বড় হয়েছেন ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ার শেফালী আক্তার (৩৬)। তাই অষ্টম শ্রেণিতে পড়াকালীনই উপজেলার শিবরামপুর এলাকার নূরুল ইসলামের সঙ্গে বিয়ের পিঁড়িতে বসতে হয়েছে তাকে। সংসারের ব্যস্ততায় এরপর আর পড়াশোনা চালিয়ে নেওয়ার সুযোগ হয়নি তার।

তবে ইচ্ছে থাকলে যে উপায় হয়, সেটিই আবার প্রমাণ করলেন তিন সন্তানের এ জননী। অদম্য সেই ইচ্ছার জোরে ফের শুরু করেন পড়ালেখা, ছেলের সঙ্গে অংশ নেন এসএসসি পরীক্ষায়। শেষ পর্যন্ত মা-ছেলে দুজনই সাফল্যের সঙ্গে উত্তীর্ণ হয়েছেন। শুধু তাই নয়, ফলাফলে ছেলের চেয়ে এগিয়ে আছেন মা। শেফালী আক্তার পেয়েছেন জিপিএ ৪ দশমিক ৭৫ এবং তার ছেলে মেহেদী হাসান মিয়াদ পেয়েছেন জিপিএ ৪ দশমিক ৩৯।

শেফালী আক্তার উপজেলার আছিম বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয় এবং ছেলে মেহেদী হাসান মিয়াদ শুশুতি উচ্চ বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান শাখার শিক্ষার্থী ছিলেন। একসাথে পাস করায় মা-ছেলে উভয়েই বাঁধভাঙ্গা উচ্ছ্বাসে মেতেছেন। এমন ফলাফলে উচ্ছ্বসিত পরিবারের সদস্যসহ স্থানীয়রাও।

শেফালী আক্তার উপজেলার শুশুতি বাজারের বই বিক্রেতা নূরুল ইসলামের স্ত্রী। বয়সের বাধাকে উপেক্ষা করে ৩৬ বছর বয়সে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেওয়া অদম্য এ নারী জানান, ৮ম শ্রেণিতে পড়ার সময় বাবা কৃষক লোকমান আলী পাশের গ্রামের কেরামত আলীর ছেলে নূরুল ইসলামের সাথে তার বিয়ে দেন। এরপর আর পড়ালেখা করার সুযোগ হয়নি। এরই মধ্যে তিন সন্তানের জননী হন। বড় ছেলে শাকিল হাসান মৃদুল বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস (বিইউপি) থেকে গতকাল অনার্স ফাইনাল পরীক্ষা শেষ করেছে এবং ছোট মেয়ে নুপুর ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়াশোনা করছে।

চলতি বছর ফুলবাড়িয়া উপজেলার আছিম বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে মা এবং ছেলে কেশরগঞ্জ পালাশী হাটা স্কুল এন্ড কলেজ কেন্দ্র থেকে এসএসসি পরীক্ষা দেন। ছেলের চেয়ে ভাল ফলাফল করায় উচ্ছ্বসিত শেফালী আক্তার বলেন, শিক্ষার কোন বয়স নাই। চেষ্টা করলে সবই সম্ভব। আমার কষ্ট স্বার্থক হয়েছে। ভবিষ্যতে আমি পড়ালেখা অব্যাহত রাখব। সকলের কাছে দোয়া চাই।

ছেলে মেহেদী হাসান মিয়াদ বলেন, আম্মা পাস করায় আমি বেশি খুশি হয়েছি। শত কষ্ট হলেও আমরা পড়াশোনা চালিয়ে যাব।

নূরুল ইসলাম বলেন, আমার স্ত্রীকে সংসারের যাবতীয় কাজকর্ম করতে হয়। এরপরও এই বয়সে এসে ছেলেদের সঙ্গে পড়াশোনা করার সাহস করাটাই অনেক বড় ব্যাপার। স্ত্রীর এই ফলে দারুণ খুশি আমি। পড়াশোনা চালিয়ে যেতে আমি তার পাশে আছি, থাকবো।

প্রতিবেশী ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক হারুন আল মাকসুদ বলেন, শেফালী আক্তার ও তার ছেলে মেহেদী হাসান মিয়াদের ফলাফলে আমরা আমরা আনন্দিত ও গর্বিত। এই বয়সে শেফালী আক্তার অনেক কষ্ট করে পড়াশোনা করছেন এবং কৃতিত্বের সাথে এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২৩ আঙ্গর টিভি