বিএনপির এক সমাবেশ থেকে বাড়ি ফেরার পথে গত ১৮ নভেম্বর পুলিশের হাতে আটক হন শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার কৃষক জানু মিয়া। দরিদ্র এই কৃষকের দেড় একর জমির ধান কাটা নিয়ে চিন্তায় ছিল পরিবার। এ অবস্থায় দলীয় কর্মীর বিপদে এগিয়ে এসেছেন স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা। গত শনিবার দুপুর থেকে তারা জানু মিয়ার জমির ধান কাটা শুরু করেন।
ঘটনাটি উপজেলার রানীশিমুল ইউনিয়নের চক্রপুর গ্রামের। জানু মিয়া কারাগারে থাকলেও গতকাল রোববার তার জমিতে ধান কাটা চলছিল।
উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব ইখলাছুর রহমান লিটন বলেন, ‘গরিব কৃষক জানু মিয়া আমাদের কর্মী। তিনি কারাগারে থাকায় পরিবারের লোকজন জমির পাকা ধান কাটতে পারেননি। এ নিয়ে পরিবারে চরম হতাশা বিরাজ করছিল।’
তিনি জানান, শেরপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য মাহমুদুল হক রুবেল বিষয়টি জানতে পারেন। পরে তিনি দলীয় নেতা-কর্মীদের জানু মিয়ার ধান কেটে দেওয়ার নির্দেশ দেন। ‘নির্দেশ পেয়ে স্থানীয় বিএনপি, যুবদল ও কৃষক দলের নেতা-কর্মীরা ধান কাটতে সহযোগিতা করেন।’
দলীয় সূত্র জানায়, গত ১৮ নভেম্বর শ্রীবরদীতে বিএনপির কর্মী সমাবেশ ছিল। সমাবেশ শেষে বাড়ি ফেরার পথে পুলিশের হাতে জানু মিয়া আটক হন। বর্তমানে তিনি শেরপুর জেলা কারাগারে আছেন।
জানতে চাইলে শ্রীবরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার শিকদার বলেন, ‘১৮ নভেম্বর বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মীকে আটক করা হয়। তাদের মধ্যে জানু মিয়াও ছিলেন। তবে তিনি জামিন পেয়েছেন কি না, জানা নেই।’
সূত্র – দ্য ডেইলি স্টার