নিজস্ব প্রতিবেদক
মঙ্গলবারও শাহবাগে মোড়ে অবস্থান নিয়েছেন ছাত্র ইউনিয়নের কর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনসহ সাম্প্রতিক সময়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘটিত ধর্ষণ-নিপীড়নের প্রতিবাদে এই অবস্থান।
ছাত্র ইউনিয়নের পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী ‘ধর্ষণের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ’ ব্যানারে তাদের গণজমায়েত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সকাল থেকেই বৃষ্টির কারণে আন্দোলনকারীদের অনেকেই সময় মতো পৌঁছাতে পারেনি। তবে বেলা ১১টার পর থেকেই সেখানে লোকজনের উপস্থিতি বাড়তে থাকে। সেইসঙ্গে প্রতিবাদ ও বিচার দাবিতে শুরু হয় স্লোগান। পরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অভিমুখে কালো পতাকা মিছিল বের করার কথা।
আগের দিন সোমবারও শাহবাগে বিক্ষোভ করেন ছাত্র ইউনিয়নের নেতাকর্মীসহ শিক্ষার্থীরা।
সেখানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দেয়া ‘পৃথিবীর সব জায়গায় ধর্ষণ হয়’ বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানান তারা। এর পাশাপাশি দ্রুততম সময়ে ধর্ষকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিরও দাবি জানান। এরপর সন্ধ্যায় তারা মঙ্গলবার আবার গণজমায়েত হওয়া ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অভিমুখে কালো পতাকা মিছিলের কর্মসূচি দেন।
গত ২ সেপ্টেম্বর রাত ৯টার দিকে বেগমগঞ্জ উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের খালপাড় এলাকায় ওই গৃহবধূর বসতঘরে ঢুকে তার স্বামীকে পাশের কক্ষে বেঁধে রাখেন স্থানীয় বাদল ও তার সহযোগীরা। এরপর গৃহবধূকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন তারা। গৃহবধূ বাধা দিলে তাকে বিবস্ত্র করে বেধড়ক মারধর করে মোবাইলে ভিডিওচিত্র ধারণ করা হয়।
ওই ভিডিও চিত্র ফেসবুকের ছেড়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে ওই গৃহবধূকে কুপ্রস্তাব দেয়া হয়। এতে রাজি না হওয়ায় পরে সেটি ফেসবুকে ছড়িয়ে দিলে তা ভাইরাল হয়ে যায়। এ ঘটনায় দেশব্যাপী তোলপাড় সৃষ্টি হয়। প্রতিবাদের ঝড় ওঠে।
সোমবার রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ওই ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে শাস্তির দাবিতে বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন ছাত্র-জনতা। ঢাকার শাহবাগ ও উত্তরায় দিনভর সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা।
এম এ হালিম