1. najmush71@gmail.com : admin : Najmush Shakeer
  2. munir2002lubnan@gmail.com : Munirul Huq Khan : Munirul Huq Khan
বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৪২ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
দেশের স্থিতিশীলতার জন্য জাতীয় ঐক্য দরকার : প্রেস সচিব সড়ক দুর্ঘটনার কবলে হাসনাত-সারজিস, দুমড়ে-মুচড়ে গেল গাড়ি প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যমুনায় বিএনপির ৫ সদস্যের প্রতিনিধি দল ইসকন নিষিদ্ধ ও আইনজীবী হত্যাকারীদের গ্রেফতারের আলটিমেটাম হাসনাত-সারজিসের মার্কিন দূতাবাসে ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিয়ে বাসায় ফিরেছেন খালেদা জিয়া স্ত্রী হত্যা মামলায় এসপি বাবুল আক্তারের জামিন চট্টগ্রাম আদালতের কার্যক্রম বন্ধ বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি দুর্নীতি মামলায় খালাস পেলেন খালেদা জিয়া দুপুরে শহীদ মিনারে সমাবেশ করবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এরা কারা, কি পরিচয় এদের: ইসকন সম্পর্কে হাইকোর্ট

ঈশ্বরগঞ্জে যেভাবে মিলল জাল টাকার কারখানার সন্ধান

রিপোর্টার
  • আপডেট : শনিবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২২

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে দুই শিশু এক বান্ডিল টাকা নিয়ে বাড়ি থেকে বেশ দূরের বাজারে গিয়েছিল মিষ্টি কিনতে। সেখানে গিয়ে ১ হাজার টাকার নোট দিলে শিশুদের নিকট ১ হাজার টাকার নোটের বান্ডিল দেখে দোকানীর সন্দেহ হয়। খবর পেয়ে পুলিশ এসে দুই শিশুর কাছ থেকে ৯০টি এক হাজার টাকার জাল নোট উদ্ধার করে। পরে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে শিশুদের অনুসরণ করে সন্ধান পাওয়া যায় জাল নোট তৈরির কারখানা। মাটি খুঁড়ে উদ্ধার করা হয় আরও ২৪ লাখ টাকার নোট ও জাল টাকা তৈরির বিভিন্ন সরঞ্জাম।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার রাজীবপুর ইউনিয়নের বৃণ্ডদেবস্থান গ্রামের বৃদ্ধ কাশেম মিয়ার ৯ ও ১১ বছর বয়সী দুই নাতি শনিবার সকালে ঈশ্বরগঞ্জ বাজারে গিয়ে কেনাকাটা করতে গেলে জাল নোটের বিষয়টি ধরা পড়ে। খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে এসে শিশু দুটিকে নিয়ে জড়িতদের ধরতে অভিযান চালায়। তারা কাশেমের বাড়িতে গেলে লোকজন প্রথমে জাল টাকার ঘটনা শুনে অস্বীকার করেন।

তবে পুলিশ ঘরে প্রবেশ করে একটি বড় ট্রাঙ্ক থেকে বিপুল পরিমাণ কাগজ উদ্ধার করে। ওই কাগজগুলোয় টাকার নোটের নিরাপত্তা সুতার মতো দেখতে পেয়ে সন্দেহ হয় পুলিশের। এসময় ঈশ্বরগঞ্জ থানার এসআই মো. আশরাফুল একটি চালাঘরে ঢুকে বালু খুঁড়ে একটি ব্যাগ উদ্ধার করে এর ভেতরে ১ হাজার টাকার নোটের ২৪টি বান্ডিল পান। প্রতিটি বান্ডিলে ১০০ নোট ছিল। পুলিশ আরেকটি ঘরের সিলিং তল্লাশি করে নিরাপত্তা সুতার মতো দেখতে পেয়ে দুই বান্ডিল কাগজ উদ্ধার করেছে।

এ বিষয়ে কাশেম মিয়া কিছু জানেন না বলে দাবি করেন। তবে স্থানীয়রা জানান, তাঁর তিন ছেলে ও ছয় মেয়ে। বড় ছেলে ডালিম মিয়া বেকার। তিনি বেশ কয়েকটি মামলার আসামি। পুলিশ তাঁর খোঁজে কয়েক দিন পর পর বাড়িতে আসে। এ কারণে তিনি পলাতক থাকেন। অন্যদিকে, এক মেয়ের জামাই সেলিম মিয়া কয়েক মাস আগে ঢাকায় বিপুল পরিমাণ জাল টাকাসহ র‌্যাবের হাতে ধরা পড়েন। বর্তমানে তিনি জামিনে মুক্ত। স্থানীয়রা আরও জানান, দু’দিন আগে সেলিম শ্বশুরবাড়ি থেকে একটি বস্তা নিয়ে গেছেন। তাতে জাল টাকা ছিল বলে গ্রামবাসীর ধারণা।

ঈশ্বরগঞ্জ থানার ওসি মোস্তাছিনুর রহমান বলেন, দুই শিশু ও তাদের নানাকে হেফাজতে রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে আরও অনুসন্ধান চলছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২৩ আঙ্গর টিভি