ময়মনসিংহের ভালুকায় অটোরিকশাচালক মোফাজ্জল হোসেন (২৬) হত্যার ঘটনার চার দিনের মাথায় জড়িত পাঁচজনকে গ্রেপ্তার ও হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-১৪)। চালকের কাছ থেকে অটোরিকশা ছিনতাই করতেই মোফাজ্জলকে খুন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে র্যাব।
গ্রেপ্তারকৃতরা হল- বাবু মিয়া (২৩), রিয়াল মিয়া (২২), মো. শামীম (১৯), নাইম আহমেদ (১৪) এবং ১৪ বছর বয়সী এক শিশু। রোববার মধ্যরাতে গাজীপুরের মাওনা এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
সোমবার (২৪ অক্টোবর) দুপুরে র্যাব-১৪ সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন র্যব-১৪’র অধিনায়ক মহিবুল ইসলাম খান।
তিনি বলেন, আসামি বাবু মিয়া ঋণগ্রস্ত ছিল। এই ঋণের টাকা পরিশোধ করার জন্যই রিয়েলের সঙ্গে পরামর্শ করে অটোরিকশা ছিনতাইয়ের পরিকল্পনা করে সে। সেই মোতাবেক গত ১৯ অক্টোবর সন্ধ্যায় গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার আমতলী গ্রামস্থ একটি কারখানার সামনে যাত্রীর জন্য অপেক্ষায় থাকা মোফাজ্জলের অটোরিকশায় উঠে চার আসামি। জৈনা বাজারের উদ্দেশে রওনা দিলে কিছু দূর যাওয়ার পরই কিছু বুঝে ওঠার আগেই রিয়েল এবং শিশুটি পেছন দিক থেকে চালকের গলায় গামছা পেচিয়ে টেনে ধরে। এরপর মোফাজ্জলের মৃত্যু নিশ্চিত করে তার মরদেহ ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশে চলন্ত অটোরিকশা থেকে ফেলে পালিয়ে যায় তারা। অটোরিকশাটি ছিনতাইয়ের পর সেটির ব্যাটারিটি আরেক আসামি নাইমের কাছে ১৯ হাজার টাকায় বিক্রি করে তা ভাগ করে নেয় অন্যরা।
র্যব-১৪’র অধিনায়ক মহিবুল ইসলাম খান আরও বলেন, ঘটনা পরদিন ভুক্তভোগীর বাবা দুলাল মিয়া বাদী হয়ে ভালুকা মডেল থানায় মামলা দায়ের করলে ছায়া তদন্তে নামে র্যাব-১৪। এরপর চার দিনের মাথায় হত্যার রহস্য উদঘাটন এবং ঘটনার সাথে জড়িত পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে র্যাব। একইসঙ্গে একটিন গ্যারেজ থেকে ওই অটোরিকশার ৫ টি ব্যাটারি এবং ভুক্তভোগীর মোবাইল সেটটি উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের আদালতে সোপর্দ করার জন্য ভালুকা মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান র্যাব অধিনায়ক।