কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের নবগঠিত কমিটি বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সড়ক অবরোধ করেছেন ‘পদবঞ্চিত’ নেতাকর্মীরা। ঘোষিত উপজেলা কমিটিকে ‘পকেট কমিটি’ আখ্যায়িত করে শনিবার তারা এ বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ করেন।
আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পাকুন্দিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের একদল নেতাকর্মী একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে পাকুন্দিয়া উপজেলা পরিষদের সামনে থেকে সদর বাজার প্রদক্ষিণ শেষে থানার সামনে গিয়ে কিশোরগঞ্জ-পাকুন্দিয়া সড়কে আধ ঘণ্টাব্যাপী অবরোধ করে রাখেন। এসময় তারা টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন।
পরে উপজেলা পরিষদ চত্বরে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু ম্যুরালের সামনে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য দেন, পদবঞ্চিত ছাত্রলীগ নেতা সাদ্দাম হোসেন, সাকিবুল হাসান মুন্না, নাফিজ আহমেদ নাদিম, রাকিবুল হাসান হৃদয় ও রাকিবুল হাসান হিমেল প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, আমাদের জাতীয় সংসদ সদস্য, উপজেলা চেয়ারম্যান, মেয়র ও উপজেলা ছাত্রলীগের ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতাকর্মীদের না জানিয়ে তাদের পছন্দের লোক দিয়ে সম্মেলন ছাড়াই একটি পকেট কমিটি গঠন করা হয়েছে। নবগঠিত কমিটির সভাপতি নাজমুল আলম বিএনপি ঘরানার লোক। তাছাড়া এ কমিটিতে অপরিচিত, অছাত্র ও বিবাহিত লোক রয়েছেন। যা ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্র ও আদর্শবিরোধী। বিএনপি ঘরানা, অছাত্র ও বিবাহিত দিয়ে এ কমিটি গঠনের ফলে সংগঠনের সুনাম নষ্ট হয়েছে। এ কমিটি অবিলম্বে বাতিল করে সম্মেলনের মাধ্যমে একটি নতুন কমিটি গঠন করতে হবে। তা না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের কর্মসূচি নেওয়ারও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে পাকুন্দিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সদ্যঘোষিত কমিটির সভাপতি নাজমুল আলম বলেন, আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে তা একেবারেই মিথ্যা ও বানোয়াট। আমি কখনো ছাত্রদলের রাজনীতিতে জড়িত ছিলাম না। আমি দীর্ঘদিন ধরে ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। এ বিষয়ে আমার কাছে প্রমাণ পত্র রয়েছে। আমাকে রাজনৈতিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টা চালাচ্ছে একটি মহল।
প্রসঙ্গত, প্রায় এক যুগ পর গত বুধবার (৫ অক্টোবর) নাজমুল আলমকে সভাপতি ও তোফায়েল আহমেদ তুহিনকে সাধারণ সম্পাদক করে ১৯ সদস্যের পাকুন্দিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের আংশিক কমিটির অনুমোদন দেয় জেলা ছাত্রলীগ।