শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার মালিঝিকান্দা ইউনিয়নে এক গৃহবধূকে নির্যাতন করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার সকালে জোনাকী আক্তার (২৪) নামে ওই গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সে মালিঝিকান্দা ইউনিয়নের ডাকুরপাড়া গ্রামের কৃষক আলেক জামালের (২৮) স্ত্রী এবং চেঙ্গুরিয়া গ্রামের আব্দুল জলিলের মেয়ে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ছয় বছর আগে জোনাকীর সঙ্গে আলেক জামালের বিয়ে হয়। তাদের দু’টি সন্তান আছে।
জোনাকীর বড় বোন জেসমিন জানান, বিয়ের পর ওই দম্পতি সুখেই সংসার করছিল। প্রথম সন্তান হওয়ার পর অশান্তি শুরু করে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন। বিশেষ করে শাশুড়ি ও ভাসুর সালেহ ওই গৃহবধূকে নানাভাবে নির্যাতন করতেন। এরই মধ্যে জোনাকী অন্তঃসত্ত্বা হলে বাপের বাড়িতে চলে আসেন। দুইমাস আগে তিনি একটি ছেলে সন্তান জন্ম দেন। গত ৬ আগস্ট তিনি দুই সন্তানকে নিয়ে স্বামীর বাড়িতে আসেন। এরপর থেকে ফের জোনাকীর উপর নির্যাতন শুরু হয়।
জোনাকীর বাবা আব্দুল জলিল বলেন, বৃহস্পতিবার সকালে মেয়েকে তার স্বামী, শাশুড়ি ও ভাসুর মিলে নির্যাতন করলে সে মারা যায়। পরে তারা মেয়ের গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যার প্রচার চালায়।
তিনি বলেন, আমার মেয়ের দুই মাস আগে একটি ছেলে সন্তান হয়েছে। সে কিছুতেই আত্মহত্যা করতে পারে না।
এদিকে স্থানীয়রা জানান, জোনাকীর মৃত্যুর পর পরই কাউকে না জানিয়ে তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন বাড়ির গরু-বাছুর আসবাবপত্র নিয়ে পালিয়ে যায়। হঠাৎ এ ঘটনা দেখে লোকজন ওই বাড়িতে এসে দেখতে পান জোনাকী ঘরে মৃত অবস্থায় ঝুলে আছে। পরে ঘটনাটি তারা পুলিশ ও জোনাকীর বাপের বাড়িতে জানান।
ঝিনাইগাতী থানার ওসি মনিরুল আলম ভুঁইয়া বলেন, গৃহবধূর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন পালিয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে মৃত্যুর বিষয়ে জানা যাবে।