ময়মনসিংহের ভালুকায় মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত ও সহযোগীতার অভিযোগে এক এসআই, দুই পুলিশ কনস্টেবলসহ ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফকারকৃতরা হলেন, ভালুকা মডেল থানার এসআই মানস কুমার শিকদার (২৯), কনস্টেবল আব্দুল মান্নান (৩৪), কনস্টেবল মুসফিকুজ্জামান (৩৪), স্থানীয় মো. আশিকুর রহমান নিরব (২৪) ও খোকন শেখ (২৬)। ওই ঘটনায় মডেল থানায় মামলা (নম্বর-৬) দায়ের করা হয়েছে। থানার এসআই ফজিকুল ইসলাম বাদি হয়ে মাদক আইনে মামলাটি করেন।
থানা পুলিশ, মামলা ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার সকালে ভালুকা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ইয়াবা ট্যাবলেট ক্রয় বিক্রয়ের খবর পেয়ে অভিযান চালায় মডেল থানার পুলিশ। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার জামুরভিটার আতিকুর রহমান আতিকের ছেলে মো. আশিকুর রহমান নিরব ও একই এলাকার কাদের শেখের ছেলে খোকন শেখ দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদেরকে আটক করে। পরে তাদের দেহ তল্লাশি করে ২২০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করে পুলিশ।
এসময় আটককৃতরা জানায়, এসআই মানস কুমার শিকদার, কনস্টেবল আব্দুল মান্নান ও কনস্টেবল মুসফিকুজ্জামানের সহযোগিতায় তারা দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসা করে আসছেন। পরে আটককৃতদের স্বীকারোক্তিতে ইয়াবা ব্যবসার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে মডেল থানার কনস্টেবল আব্দুল মান্নানকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে তার পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ড টিএন্ডটি রোডস্থ ভাড়া বাসায় তল্লাসি চালিয়ে ৭৬৯ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করে। এ সময় একই অভিযোগে এসআই মানস কুমার শিকদার ও কনস্টেবল মুসফিকুজ্জামানকে পুলিশি হেফাজতে নিয়ে মাদক মামলা দিয়ে গ্রেফতারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।
ভালুকা মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ কামাল হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘ওই ঘটনায় মামলা হয়েছে এবং গ্রেফতারকৃতদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
এবিষয়ে সদ্য যোগদান করা ময়মনসিংহ জেলা পুলিশ সুপার মাসুম আহমেদ জানান মাদক নিয়ে জিরো টলারেন্স দেখাচ্ছে ময়মনসিংহ জেলা পুলিশ। অপরাধের সাথে যারা জড়িত থাকবে তাদের ছাড় দেয়া হবেনা। তিন পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে, মামলা হয়েছে।