‘মাগো আমি আর বাইরে যাব না। আমাকে ক্ষমা করে দাও মা। তুমি আমাকে মারো। আমি কিছু কইবো না।’
মায়ের মৃতদেহ সামনে নিয়ে কান্না করতে করতে এই কথাগুলো বলছিল ১২ বছরের নাফিজ।
বদ্ধ ঘরে মায়ের মৃত্যুর সময় জানালার বাইরে দাঁড়িয়ে দেখছিল নাফিজ। নাসরিন আক্তার তার ওপর অভিমান করে আত্মহত্যা করেছে বলে ধারনা নাফিজের।
শনিবার বিকালে শেরপুর পৌর শহরের গৃদ্দানারায়নপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নাসরিন মৃত পরিবহন শ্রমিক বাবুর স্ত্রী। দুই সন্তান নাফিজ (১২) ও নাবিলকে (৮) নিয়ে শহরের গৃদানারায়নপুরের একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন নাসরিন আক্তার।
শনিবার সন্ধ্যায় লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বসির আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘এ ব্যাপারে অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। তদন্ত চলছে। ’
নাসরিনের বড় ছেলে নাফিজ জানায়, বাইরে খেলতে যাওয়ায় মা তার সাথে রাগ করে ঘরের দরজা বন্ধ করে। এ সময় সে জানালার পাশে গিয়ে তার মাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায়। তার চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসেও দরজা ভাঙতে পারেনি। পরে পুলিশ এসে দরজা ভেঙে তার মায়ের দেহ উদ্ধার করে।
পুলিশ জানায়, নাসরিনের শ্বশুরবাড়ি ঢাকার বিক্রমপুর। তার বাবার বাড়ি শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার ভায়াডাঙ্গা গ্রামে। ২০২০ সালে তার স্বামী বাবু ঢাকা-শেরপুর রোডের শেরপুর চেম্বার অব কমার্সের বাসে চাকরি করা অবস্থায় সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান। এরপর তারা এখানে এসে বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করছিল।