কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশকে কেন্দ্র করে পুলিশ ও বিএনপি নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পৌর সদরের সৈয়দগাঁও চৌরাস্তা এলাকায় দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। পরে দফায় দফায় দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া চলে।
এ ঘটনায় বিএনপির শতাধিক নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন বলে বিএনপির পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে পাঁচজনের নাম জানা গেছে—উপজেলা বিএনপির কর্মী গোলাপ মিয়া, খুরশিদ মিয়া, মো. ইমন, খায়রুল ইসলাম ও ডালিম মিয়া।
উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. জালাল উদ্দিন বলেন, তাঁদের শতাধিক নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। আহত নেতা-কর্মীরা পাকুন্দিয়া, কটিয়াসহ স্থানীয় হাসপাতালগুলোয় চিকিৎসা নিয়েছেন।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, নিত্যপণ্যসহ তেল, গ্যাস, পেট্রলের লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধি ও বিএনপির তিন নেতা-কর্মী হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে উপজেলা বিএনপি আজ সকালে পাকুন্দিয়া বাজার পাটমহলে বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দেয়। এ উপলক্ষে আজ সকাল থেকে বিএনপির নেতা-কর্মীরা খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সৈয়দগাঁও চৌরাস্তা দিয়ে সমাবেশস্থলে যেতে শুরু করলে পুলিশ তাঁদের বাধা দেয়। একপর্যায়ে বিএনপির নেতা-কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ লাঠিপেটা শুরু করে।
এ সময় বিএনপির নেতা-কর্মীরাও পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়েন। পরে পুলিশ বিএনপির নেতা-কর্মীদের সরিয়ে দিতে কাঁদানে গ্যাসের শেল ও রাবার বুলেট ছুড়তে শুরু করে।
উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. জালাল উদ্দিন বলেন, উপজেলা বিএনপি আজ সকালে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করেছিল। তবে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে অতর্কিতে পুলিশ এসে বিএনপির নেতা-কর্মীদের লাঠিপেটা করে। পরে রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করেছে। এতে বিএনপির শতাধিক নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন।
কিশোরগঞ্জ সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আল আমিন বলেন, বিএনপির সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল আয়োজনের অনুমতি ছিল না। তবু বিএনপির নেতা-কর্মীরা মিছিল নিয়ে পৌর বাজারের দিকে এলে পুলিশ তাঁদের বাধা দেয়। এ সময় বিএনপির নেতা-কর্মীরা সরকারি কাজে বাধা দেন এবং পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন।