নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে বিয়ের কয়েক মাস পর প্রিয়া আক্তার (২২) নামে এক তরুণীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় স্বামী জোবায়েদ হোসেনকে (২৭) গ্রেফতার করা হয়।
শুক্রবার সকালে তাকে আদালতে পাঠানো হয়। এর আগে বৃহস্পতিবার বিকালে পৌর শহরের দেওথান গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত জোবায়েদ হোসেন দেওথান গ্রামের আ. জব্বারের ছেলে। আর নিহত প্রিয়া আক্তার উপজেলার খালুয়া গ্রামের নজরুল ইসলামের মেয়ে।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে প্রিয়ার বাবা নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে যৌতুকের জন্য হত্যার অভিযোগে প্রিয়ার স্বামী জোবায়েদসহ চারজনকে আসামি করে মোহনগঞ্জ থানায় মামলা করেছেন। অন্য আসামিরা হলেন- জোবায়েদের মা রোকেয়া আক্তার, বোন নুরুন্নাহার ও ইতি আক্তার।
স্থানীয়রা জানায়, বৃহস্পতিবার বিকালে প্রিয়াকে অসুস্থ বলে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায় স্বামী জোবায়েদ। পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক প্রিয়াকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
প্রিয়ার মামা মো. হায়দার অভিযোগ করেন, ৭-৮ মাস আগে জোবায়েদের সঙ্গে প্রিয়ার বিয়ে হয়। এরপর থেকে প্রিয়াকে নানারকম অত্যাচার করছিল জোবায়েদ। প্রিয়া ভীষণ অসুস্থ- বৃহস্পতিবার বিকালে জোবায়েদ আমাদের ফোন করে এমন খবর দেয়। ফোনে বলা তার ভাষাগুলো কৌশলী ছিল।
খবর শুনে আমরা সবাই ছুটে আসি। এসে দেখি প্রিয়া অনেক আগেই মারা গেছে। প্রিয়ার গলাসহ শরীরে অনেক জায়গায় মারধরের চিহ্ন রয়েছে। এটি নিশ্চিত হত্যাকাণ্ড।
পুলিশ জানায়, প্রিয়ার গলাসহ শরীরের অনেক জায়গায় নীলা ফোলা ও রক্তাক্ত দাগ রয়েছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
মোহনগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রাশেদুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, অভিযুক্ত জোবায়েদকে গ্রেফতার করে সকালে আদালতে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামিদের ধরতেও চেষ্টা অব্যাহত আছে।