জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলায় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, দুর্নীতিসহ বিভিন্ন অসংগতি নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দেওয়ার অভিযোগে ইউনিয়ন ছাত্রলীগ নেতাকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।
আজ বুধবার সকালে উপজেলার গাইবান্ধা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি মো. আবু সুফিয়ান ও সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হকের স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বহিষ্কৃত নেতার নাম মো. মোস্তাক আহম্মেদ। তিনি উপজেলার গাইবান্ধা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সহসভাপতি ছিলেন।
স্থানীয় ছাত্রলীগ ও প্রেস বিজ্ঞপ্তি সূত্রে জানা যায়, গত মঙ্গলবার ছাত্রলীগ নেতা মো. মোস্তাক আহম্মেদ তাঁর ফেসবুকে ‘হ্যালো প্রিয় আওয়ামী লীগ সরকার’ শিরোনামে একটি লেখা পোস্ট করেন। সেই পোস্টে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, দেশ দুর্নীতিতে ভরপুর, কৃষক পণ্যের ন্যায্যমূল্য পাচ্ছেন না, আইনের শাসনের বুলি আওড়ানো হচ্ছে, কিন্তু দুর্বলেরা আইন-আদালতের ধারেকাছেও যেতে পারছেন না—এমন সব কথা বলেন। বিষয়টি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের নজরে আসে। পরে মোস্তাককে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। সেই সঙ্গে কেন তাঁকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না, সে বিষয়ে উপযুক্ত কারণসহ আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে কারণ দর্শানোর জন্য বলা হয়েছে।
ইসলামপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নূরে আজাদ ইমরান বলেন, ওই ছাত্রলীগ নেতা ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ করে নানা রকম নেতিবাচক মন্তব্য করেছেন। বিষয়টি ছাত্রলীগের নজরে আসে। এতে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অপরাধে তাঁকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।
এ বিষয়ে বহিষ্কৃত ছাত্রলীগ নেতা মো. মোস্তাক আহম্মেদ বলেন, ‘এই মুহূর্তে আমি জেলার বাইরে অবস্থান করছি। ফেসবুকের মাধ্যমে জানতে পেরেছি, আমাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। যে অভিযোগে বহিষ্কার করা হয়েছে, সে ধরনের কাজ আমি করিনি। স্ট্যাটাসটি এখনো ফেসবুকে আছে। সেখানে সরকারবিরোধী কিছু নেই। তো, আমি একজন ছাত্রলীগ কর্মী হিসেবে কখনো এই সরকারের বিরুদ্ধে নই।’ তিনি আরও বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী একাই মানুষের জন্য বহু কিছু করছেন। কিন্তু মাঠপর্যায়ে দলীয় নেতা-কর্মীরা তাঁর সেই পরিশ্রম ও চেষ্টাটাকে নষ্ট করে দিচ্ছেন। ফলে মাঠপর্যায়ের কিছু অসংগতি আমি তুলে ধরেছিমাত্র। তারপরও ছাত্রলীগ মনে করেছে, আমার মতো কর্মী দরকার নেই। তাই হয়তো বহিষ্কার করেছে।’