ময়মনসিংহে ত্রিশালের মালেক হত্যা মামলার ৩৪ বছর পর চার আসামির যাবজ্জীবন স্বশ্রম কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে প্রত্যেককে দশ হাজার টাকা অর্থদন্ড, অনাদায়ে আরও তিন মাসের স্বশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দেওয়া হয়।
সোমবার (২২ আগস্ট) দুপুরে ময়মনসিংহের দ্বিতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিজ্ঞ বিচারক সাবরিনা আলী এই রায় ঘোষণা করেন।
দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন- ত্রিশাল উপজেলার দরিল্লা গ্রামের আলতাব আলী, মফিজ উদ্দিন, কিসমত আলী ও জিন্নাত আলী। এছাড়া মামলার ৮ আসামির মধ্যে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আহাম্মদ আলী ও সুজরু আলী নামে দুজনকে বেকসুর খালাস দেন বিচারক। এরই মধ্যে এই দীর্ঘ সময়ে অপর দুইজন আসামির মৃত্যু হয়েছে।
আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সঞ্জিব সরকার এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ১৯৮৮ সালের ২১শে আগস্ট ময়মনসিংহের ত্রিশালে দরিরামপুরে স্থানীয় বিরোধকে কেন্দ্র করে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করা হয় এলাকার মাতব্বর আব্দুল মালেককে। এ ঘটনায় নিহতের ভাই আবুল কাশেম বাদী হয়ে মামলা করলে তদন্ত কর্মকর্তা, ৮ জনের নামে আদালতে চার্জশিট দেয়। মামলার স্বাক্ষীদের রিকলের বিষয়ে ১৯৯৪ সালে হাইকোর্টে আপীল করেন আসামিপক্ষ। এরপর থমকে যায় বিচার কাজ।
সেই রিভিশন শুনানি শেষ হতে কেটে যায় ১৮টি বছর। ২০১২ সালে রিভিশন নিস্পত্তি হলেও, সেই অর্ডার কপি ময়মনসিংহ আদালতে রিসিভ করা হয় ২০১৫ সালে। এই দীর্ঘ সময়ে মারা গেছেন সোবহান ও সিদ্দিক নামে মামলার দুই আসামিও।
দীর্ঘদিন পর রায় হলেও, ন্যায় বিচার নিশ্চিত হওয়ায় তাতে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন বাদী পক্ষ। রায়ের সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। আব্দুল মালেকের ভাতিজা রিয়েল আহমেদ জানান, দীর্ঘদিন পর রায় হলেও আমরা সন্তুষ্ট। আদালতে আমরা ন্যায় বিচার পেয়েছি। আসামিরা উপযুক্ত শাস্তি পেয়েছে।