কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় রেস্টুরেন্টে নাশতা খেতে যাওয়ার পথে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে ১৬ বছরের এক কিশোরী। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার ড্রেইনের ঘাট ব্রিজের পূর্ব পাশে একটি ছনক্ষেতে এ ঘটনা ঘটে। পরে ভুক্তভোগীর বাবা বাদী হয়ে পাকুন্দিয়া থানায় তিন যুবকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ রাতেই অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছেন বলে জানায় পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন উপজেলার দক্ষিণ খামা গ্রামের মো. হেলিমের ছেলে মো. দিপু মিয়া (২১), পুটিয়া গ্রামের মো. লিয়াকত আলীর ছেলে মো. সোহাগ মিয়া (১৯) ও একই গ্রামের মো. খোকন মিয়ার ছেলে মো. ইলিয়াস (১৯)। আজ বুধবার দুপুরে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার সকালে জন্মনিবন্ধন সংশোধন করতে বুরুদিয়া ইউনিয়ন পরিষদে যায় ওই কিশোরী। কিন্তু ততক্ষণে সচিব না আসায় সে মোবাইলে তার ফুফাতো বোনের স্বামী আরমানকে ইউনিয়ন পরিষদে আসতে বলে। আরমান না এসে তার বন্ধু ইলিয়াসকে পরিষদে পাঠান। কিছু সময় অপেক্ষার পরও সচিব না আসায় ওই কিশোরীকে একটি রেস্টুরেন্টে গিয়ে নাশতা খেতে বলেন ইলিয়াস। পরে ইলিয়াসের কথামতো ইউনিয়ন পরিষদ থেকে বের হয়ে ড্রেইনের ঘাট এলাকায় স্বপ্নতরি নামের একটি রেস্টুরেন্টে যাওয়ার উদ্দেশে বের হন তারা। পথিমধ্যে ড্রেইনের ঘাট ব্রিজের কাছে একটি কলাবাগানের সামনে পৌঁছলে ইলিয়াসের দুই বন্ধু দিপু ও সোহাগ ওই কিশোরীর গতিরোধ করেন। প্রথমে কিশোরীর হাতে থাকা মুঠোফোনটি কেড়ে নেন দিপু। পরে জোরপূর্বক কলাবাগানের পাশে একটি ছনক্ষেতে নিয়ে যান তাকে। সেখানে প্রথমে দিপু ও পরে সোহাগ পালাক্রমে ধর্ষণ করেন। এ সময় রাস্তায় পাহারা দেন ইলিয়াস। একপর্যায়ে কিশোরী চিৎকার শুরু করলে তিনজনই পালিয়ে যান। খবর পেয়ে পুলিশ ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে। পরে রাতেই পাকুন্দিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীর বাবা।
এ ব্যাপারে পাকুন্দিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সারোয়ার জাহান বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা ধর্ষণের সত্যতা স্বীকার করেছেন।