নেত্রকোনায় জাতীয় শোক দিবসে কাঙালিভোজ আয়োজন নিয়ে আওয়ামী লীগের দুপক্ষে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে ১০ জন আহত হয়েছেন।
সোমবার সদর উপজেলার চল্লিশা ইউনিয়নের বাঘরা বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
আহতদের মধ্যে ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি সাবেক ইউপি মেম্বার আবদুল জলিল, সাধারণ সম্পাদক সাইফুর রহমান লালু, সহ-সভাপতি মো. জনি মিয়া ও ছাত্রলীগ নেতা সুলতান মাহমুদ মিলনকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় আওয়ামী লীগ নেতা বিপ্লব খান ও আপ্তাব উদ্দিনকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলার চল্লিশা ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি লাল চান মিয়া বাঘরা বাজারে দলের অস্থায়ী কার্যালয়ে এবং আওয়ামী লীগ নেতা বিপ্লব খান বাঘরা ফাজিল মাদ্রাসার পাশে কাঙালিভোজ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেন।
এ নিয়ে দুপক্ষে সোমবার সকাল থেকেই উত্তেজনা দেখা দেয়। একপর্যায়ে দুপুর ১২টার দিকে উভয়পক্ষে কথা কাটাকাটি হয়।
একপর্যায়ে তারা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এ সময় ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি সাবেক ইউপি মেম্বার আবদুল জলিল, সাধারণ সম্পাদক সাইফুর রহমান লালু, সহ-সভাপতি মো. জনি মিয়া, সুলতান মাহমুদ মিলন, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, যুবলীগ নেতা জুয়েল মিয়া, লিটন মিয়া, এরশাদ মিয়া ও মজিবুর রহমানসহ অন্তত ১০ জন আহত হন।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনে। পরে আওয়ামী লীগ নেতা বিপ্লব খান ও আপ্তাব উদ্দিনকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়। এ নিয়ে এলাকায় দুপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
নেত্রকোনা মডেল থানার ওসি খন্দকার সাকের আহমেদ জানান, কাঙালিভোজ আয়োজন নিয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগের দুপক্ষে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হন। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় কেউ লিখিত অভিযোগ করেননি।