1. najmush71@gmail.com : admin : Najmush Shakeer
  2. munir2002lubnan@gmail.com : Munirul Huq Khan : Munirul Huq Khan
সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৩০ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
আসছে নতুন বৃষ্টিবলয়, কৃষকদের জন্য জরুরি সতর্কবার্তা রাজনৈতিক নেতৃত্বের পরিবর্তনেও সঙ্গে থাকার বার্তা জাপানের আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের প্রধান কৌঁসুলি ঢাকায় আসছেন ২৫ নভেম্বর নির্বাচন কমিশন থেকে নামিয়ে ফেলা হয় শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি শেখ হাসিনার ছবিতে ‘হা হা রিঅ্যাক্ট’, ছাত্রদল কর্মীদের বেধড়ক পেটাল ছাত্রলীগ পাঁচ বিসিএসে নিয়োগ পাবে ১৮ হাজার ১৪৯ জন ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার বিষয়ে নির্দেশনা আদালত দেবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সিইসি ও চার কমিশনার শপথ নিলেন সেইলরের ব্র‍্যান্ড এম্বাসেডর হলেন তারকা জুটি সিয়াম আহমেদ ও বিদ্যা সিনহা মিম মন্ত্রীর বাড়ির সামনে বৃষ্টির মধ্যে দাঁড়িয়ে ছিলাম, যেন চাকরি চাইতে গিয়েছি: বাণিজ্য উপদেষ্টা

জন্মনিবন্ধন করতে মা-বাবার সনদ আর লাগবে না

রিপোর্টার
  • আপডেট : সোমবার, ১৫ আগস্ট, ২০২২

এখন থেকে জন্মনিবন্ধন করতে মা-বাবার জন্মসনদ আর লাগবে না। মা-বাবার জন্মসনদ বাধ্যতামূলক করে নিয়ম কার্যকরের দেড় বছরের বেশি সময় পর তা তুলে দেওয়া হলো।

‘রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয়, জন্ম ও মৃত্যুনিবন্ধন’ বলছে, ২৭ জুলাই থেকে জন্মনিবন্ধনের আবেদন করতে গেলে সফটওয়্যারে মা-বাবার জন্মসনদ চাওয়া হচ্ছে না। এতে বিয়ে বিচ্ছেদ হওয়া পরিবারের সন্তান, যাদের মা কিংবা বাবা যেকোনো একজনের সঙ্গে যোগাযোগ নেই এবং পথশিশুদের জন্মনিবন্ধন করতে যে জটিলতা ছিল, তা কাটবে বলে মনে করছেন ভোগান্তির শিকার মানুষেরা।

রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয় বলছে, এখন থেকে হাসপাতালে জন্ম নেওয়ার পর দেওয়া ছাড়পত্র বা টিকার কাগজ যেকোনো একটি প্রমাণ দেখিয়ে শিশুর জন্মনিবন্ধন করা যাবে।

এ নিয়ম আগেও কার্যকর ছিল। তবে ২০২১ সালের ১ জানুয়ারি থেকে নিয়মে পরিবর্তন এনে বলা হয়েছিল, ২০০১ সালের পর জন্ম নেওয়া ব্যক্তিদের জন্মনিবন্ধন করতে হলে তার বাবা-মায়ের জন্মনিবন্ধন সনদ অবশ্যই প্রয়োজন হবে। ওই সময় জন্মনিবন্ধন করতে গিয়ে নানা ভোগান্তি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন অভিভাবকেরা।

এ নিয়ে গণমাধ্যমে একাধিক প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। অনেকে প্রশ্ন তোলেন, ‘মা-বাবার জাতীয় পরিচয়পত্র থাকার পরও কেন সন্তানের জন্মনিবন্ধন করার জন্য মা-বাবারও জন্মনিবন্ধন করা লাগবে?’

জন্মনিবন্ধন নিয়ে জনভোগান্তির বিষয় বিবেচনায় নিয়ে মা-বাবার জন্মনিবন্ধনের বাধ্যবাধকতা তুলে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন রেজিস্ট্রার জেনারেল মির্জা তারিক হিকমত। গতকাল রোববার তিনি বলেন, ‘২৭ জুলাই থেকে অনলাইনে জন্মনিবন্ধনের আবেদন নেওয়ার সফটওয়্যারে পরিবর্তন আনা হয়েছে। এখন যাঁরা শিশুর জন্মনিবন্ধনের জন্য আবেদন করবেন, তাঁদের কাছে আগের মতো মা-বাবার জন্মসনদ চাওয়া হবে না।’

তবে আগের নিয়মের যৌক্তিকতা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘জন্মনিবন্ধনের আন্তর্জাতিক ব্যবহার সম্পর্কে জানার কারণে ভবিষ্যতের কথা ভেবে মা-বাবার জন্মসনদ চাওয়া হতো। এভাবে ৩০ লাখ শিশুর একক পরিচয়পত্র (ইউনিক আইডি) করা হয়েছে। এটা মা–বাবার সঙ্গে সন্তানের পরিচিতির একটি পদ্ধতি ছিল। মা-বাবার জন্মসনদের বাধ্যবাধকতা তুলে দেওয়ায় সে সুযোগটি নষ্ট হয়ে যাবে।’

নতুন নিয়ম যেভাবে কার্যকর হচ্ছে

নতুন নিয়মের বিষয়ে কোনো নির্দেশনা জারি করা হয়েছে কি না, জানতে চাইলে রেজিস্ট্রার জেনারেল বলেন, এ–সংক্রান্ত কোনো নির্দেশনা জারি করা হয়নি। সিস্টেম থেকে মা-বাবার জন্মসনদের বাধ্যবাধকতা বাদ দেওয়া হয়েছে। সেটা আবেদন করতে গেলেই বোঝা যাবে। এর আগে গত বছর যে নিয়ম কার্যকর হয়েছিল, সেই সময়েও কোনো নির্দেশনা জারি হয়নি।

বিয়েবিচ্ছেদ হওয়া মা-বাবার সন্তান ও পথশিশুদের ক্ষেত্রে কী করা হবে জানতে চাইলে রেজিস্ট্রার জেনারেল বলেন, এই আবেদনগুলো বিশেষ হিসেবে বিবেচনা করা হতো এবং নাগরিকেরা সরাসরি অনলাইনে আবেদন করতে পারতেন না। ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) বা নিবন্ধন কার্যালয়ে সরাসরি গিয়ে আবেদন করতে হতো। যেহেতু মা-বাবার জন্মসনদের বাধ্যবাধকতা থাকছে না, তাই এ ধরনের পরিবারের শিশুরাও সাধারণভাবে এখন থেকে অনলাইনে আবেদন করতে পারবে। তবে পথশিশুদের ক্ষেত্রে যারা মা-বাবার নাম বলতে পারবে না, তাদের আগের মতোই নিবন্ধন কার্যালয়ে গিয়ে আবেদন করতে হবে।

জন্ম ও মৃত্যুনিবন্ধন বিধিমালা ২০১৮–এর ৩ (গ) ধারা অনুসারে, কোনো ব্যক্তি এতিম, প্রতিবন্ধী, তৃতীয় লিঙ্গ, পিতৃ-মাতৃ পরিচয়হীন, পরিচয়হীন, বেদে, ভবঘুরে, পথবাসী বা ঠিকানাহীন বা যৌনকর্মী হলে যেসব তথ্য অসম্পূর্ণ থাকবে, সেসব স্থানে ‘অপ্রাপ্য’ লিখে জন্ম ও মৃত্যুনিবন্ধন করতে হবে। এসব ক্ষেত্রে তথ্যের ঘাটতির কারণ দেখিয়ে নিবন্ধক জন্ম বা মৃত্যুনিবন্ধন প্রত্যাখ্যান করতে পারবেন না।

ভোগান্তির শিকার হওয়া মানুষ সন্তুষ্ট

গত ১২ জুন পথশিশুদের জন্মনিবন্ধন সনদ দেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে স্পোর্টস ফর হোপ অ্যান্ড ইন্ডিপেনডেন্স বাংলাদেশ (শি) নামের একটি বেসরকারি সংগঠনের পক্ষে আইনজীবী তাপস কান্তি বল হাইকোর্টে রিট করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ৩০ জুন হাইকোর্ট এক রুলে দেশের ১৬ লাখ পথশিশুকে জন্মনিবন্ধন সনদ দিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না এবং পথশিশুদের জন্মনিবন্ধন সনদ দেওয়ার ক্ষেত্রে নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চান।

এ ব্যাপারে আইনজীবী তাপস কান্তি বল বলেন, সুবিধাবঞ্চিত পথশিশুদের জন্মনিবন্ধনের বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। তিন মাসের মধ্যে নারী ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, জন্মনিবন্ধন অধিদপ্তর কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্টদের এ বিষয়ে অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দেন আদালত। তিনি আরও বলেন, মা-বাবার জন্মসনদ দেওয়ার বাধ্যবাধকতা উঠে গেলে এই শিশুরা উপকৃত হবে।

পথশিশুদের জন্মসনদ নিয়ে জটিলতা না কাটলে প্রয়োজনে রাস্তায় নেমে আন্দোলন করবেন বলে জানিয়েছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক এবং জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান। নতুন নিয়মের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে তিনি বলেন, এটিই হওয়ার কথা ছিল। রাষ্ট্রের দায়িত্ব শিশুবান্ধব সমাজ ও রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অভিভাবকহীন শিশুদের অভিভাবক হয়েছিলেন। সে পথ থেকে বিচ্যুত হয়েছিল দেশ। এটার কারণ আমলাতন্ত্র। আরও অনেক ক্ষেত্রে আমলাতন্ত্র দেশকে বিচ্যুতির পথে নিয়ে গেছে। তবে বঙ্গবন্ধুর মতো মানসিকতার রাজনীতিবিদের সামনে সমস্যাগুলো তুলে ধরা গেলে তাঁরা তা গ্রহণ করেন। এ ক্ষেত্রে তাই হয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২৩ আঙ্গর টিভি