প্রেমের বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে পরিবারের কাউকে না জানিয়ে বিয়ে করেন আকাশ ও মর্জিনা। স্বামী আকাশ স্ত্রীর স্বীকৃতি অস্বীকারের পাশাপাশি চরিত্র নিয়ে কথা তুললে কলেজছাত্রী মর্জিনা আক্তার সিলিং ফ্যানের সঙ্গে উড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার ধানীখোলা মধ্যভাটিপাড়া গ্রামে। মৃত মর্জিনার বাবা মো. বাদশা মিয়া বাদী হয়ে শনিবার ত্রিশাল থানায় মামলা করেন। ওই দিনই আকাশের বাবাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
ত্রিশাল থানা সূত্রে জানা যায়, ময়মনসিংহ মহিলা ডিগ্রি কলেজের এইচএসসির দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী মর্জিনা আক্তারের (১৮) গত দুই বছর পূর্বে মিন্টু কলেজের ছাত্র আকাশ সরকারের (২০) সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। পরিবারের কাউকে না জানিয়ে তিন মাস পূর্বে মর্জিনাকে বিয়ে করেন আকাশ। বিয়ে করার পর থেকেই মর্জিনা আকাশকে চাপ দেন তার পরিবারের স্বীকৃতির জন্য।
মর্জিনা তার স্বামীর বাড়ি ধানীখোলা মধ্যভাটিপাড়ার ভাওয়ালীয়াপাড়ায় গেলে আকাশের পরিবারের সদস্যরা তাকে মেনে নেয়নি। গত ১১ আগস্ট আকাশের নানার বাড়ি নওধার ভাংতি এলাকায় মর্জিনাকে তার স্বামী নিয়ে যান। সেখানে সালিশে মর্জিনাকে নিয়ে সংসার করতে পারবে না বলে সাফ জানিয়ে দেন প্রেমিক আকাশ।
এ সময় মর্জিনার চরিত্র নিয়েও কথা তোলেন আকাশ। সেই অপমান সহ্য করতে না পেরে শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ঘরের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। ত্রিশাল থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে। মর্জিনার বাবা মো. বাদশা মিয়া বাদী হয়ে শনিবার ত্রিশাল থানায় মামলা করেন।
মর্জিনার বাবা বলেন, আমার মেয়ের সঙ্গে আকাশের দুই বছরের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। গোপনে বিয়েও করে তারা। আকাশ সব কিছু অস্বীকার করে সালিশে। মর্জিনার চরিত্র নিয়েও কথা তোলে সে। আর সেই অপমান সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় আমার মেয়ে।
ত্রিশাল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মাইন উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় ত্রিশাল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতনের নিয়মিত মামলা করা হয়েছে। আকাশের বাবা আশরাফ সরকারকে গ্রেফতার করে ময়মনসিংহ কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।