বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, আগামী মাস থেকে দেশে লোডশেডিং থাকবে না, জ্বালানি তেলের দামও সমন্বয় করা হবে।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনার সরকার জনবান্ধব সরকার। এ সরকার জনগণকে ভোগান্তিতে ফেলবে না।
রোববার (১৪ আগস্ট) রাজধানীর বিদ্যুৎ ভবনে ফোরাম ফর এনার্জি রিপোর্টাস বাংলাদেশের আয়োজনে ‘বঙ্গবন্ধুর জ্বালানি দর্শন ও বাংলাদেশের জ্বালানি নিরাপত্তাঃ অস্থির বিশ্ব বাজার’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে নসরুল হামিদ এ কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সাময়িক সংকট তৈরি হয়েছে। বিশ্ব বাজারে জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় ৮ হাজার কোটি টাকার ওপরে ক্ষতি হয়েছে। সেজন্য আমরা দাম সমন্বয় করেছি কেবলমাত্র, তেলের দাম বাড়াইনি।
তিনি বলেন, যে পরিস্থিতি যাচ্ছে তাতে আমাদের নিয়মিত সমন্বয় করতে হবে।
বিএনপির সমালোচনা করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমার থেকে ভারতের গ্যাস রফতানির পাইপলাইন বন্ধ করা ছাড়া কোনো কাজই তারা করেনি। ১৬ থেকে ১৭ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকতো না তাদের সময়। তারা একটা ক্ষেত্রেই চ্যাম্পিয়ন হচ্ছে, সেটা হচ্ছে দুর্নীতি। নাইকো মামলায় তখনকার প্রধানমন্ত্রীর সন্তান তারেক জিয়া জড়িত থাকার কথা বলেছে অন্য আসামিরা।
কোনো একটা দেশ বর্তমান পরিস্থিতি এককভাবে তৈরি করেনি উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে এটা তৈরি হয়েছে। ভাড়ায়চালিত তেলভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র কোনটারই ক্যাপাসিটি চার্জ নেই বলেও দাবি করেছেন তিনি।
জার্মানি ও যুক্তরাজ্য কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রে ফিরে আসছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সে দেশের পরিবেশবাদীরা চুপ। আমাদের দেশের পরিবেশবাদীরাও কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে বলেছিলেন- কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের কারণে দেশের অর্ধেক মানুষ মারা যাবে। দেশ ধুয়ায় ছেয়ে যাবে। পরিস্থিতি যখন খারাপ তখন ধৈর্য্য ধরতে হবে।
ইএমআরডি সচিব মাহবুব হোসাইন বলেন, ৪৬টা কূপ খনন করা হবে ২০২৫ সালের মধ্যে। ভোলার গ্যাস কিভাবে জাতীয় গ্রিডে আনা যায় সেই ভাবনাও আছে।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন- জ্বালানি বিশেষজ্ঞ বদরুল ইমাম, বিশেষজ্ঞ শামসুল আলমসহ ফোরাম ফর এনার্জি রিপোর্টাস বাংলাদেশের সদস্যরা।