নাটোরে ছাত্র মামুনকে বিয়ে করে সংসার গড়া খুবজীপুর ডিগ্রি কলেজের শিক্ষিকা খায়রুন নাহারের সংসার মাত্র আট মাসের মধ্যেই পরিসমাপ্তি ঘটল! খায়রুন নাহার আত্মহত্যা করেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।
আজ রবিবার (১৪ আগস্ট) সকালে নাটোর শহরের বলারিপাড়া এলাকায় এক ভাড়া বাসা থেকে তার মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাটোর সদর থানার ওসি নাসিম আহমেদ।
সূত্র বলছে, তার লাশ ফ্যানের সঙ্গে ঝুলানো ছিল।
পুলিশের ধারণা তিনি আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন। তবে এখনই নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না, তিনি আত্মহত্যা করেছেন কি না! অনেকে বলছেন, তাকে মেরে ঝুলিয়ে রাখা হতে পারে।
এদিকে, ওই শিক্ষিকার মরদেহ উদ্ধারের পর স্বামী মামুনকে আটক করা হয়েছে। নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসিম আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এলাকাবাসী জানান, রাত ৩টার দিকে স্বামী মামুন এলাকাবাসীকে ডেকে বলেন, তার স্ত্রী খায়রুন নাহার গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। এলাকাবাসী ছুটে গিয়ে তার ঘরে মরদেহ মেঝেতে শোয়ানো অবস্থায় দেখতে পান। কিন্তু সন্দেহ হলে এলাকাবাসী মামুনকে আটকে রেখে পুলিশে খবর দেন।
প্রেম মানে না ধর্ম, বর্ণ, বয়স, জাত। তার প্রমাণ করেছিলেন কলেজছাত্র মামুন এবং শিক্ষিকা খায়রুন নাহার। ফেসবুকে প্রেমের পর বিয়ে করেন তারা। ফেসবুকে শিক্ষিকা নাহারের সঙ্গে একই উপজেলার ধারাবারিষা ইউনিয়নের পাটপাড়া গ্রামের কলেজছাত্র মামুনের পরিচয় হয় বছরখানেক আগে। পরে তাদের দুজনের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এক পর্যায়ে দুজন বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন। ২০২১ সালের ১২ ডিসেম্বর কাউকে না জানিয়ে গোপনে বিয়ে করেন তারা।
বিয়ের ৬ মাস পর তাদের সম্পর্ক জানাজানি হলে ছেলের পরিবার মেনে নিলেও মেয়ের পরিবার থেকে বিয়ে মেনে নেয়নি। তখন তিনি বলেছিলেন, ‘আমি অনেক সুখে আছি। ’ তখন কলেজ শিক্ষিকা খায়রুন আরো বলেছিলেন, ‘সমাজে কে কি বলে, তা বড় বিষয় না। আমরা যদি দুজন ঠিক থাকি, তাহলে সব ঠিক। ’ আর আট মাস পর খবর পাওয়া গেল সেই শিক্ষিকা চলে গেলেন না ফেরার দেশে। তবে তাকে মেরে ফেলা হয়েছে, নাকি আত্মহত্যা করেছেন- সে বিষয়ে এখনো সুস্পষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি।