লোডশেডিং কমাতে এলাকাভেদে সপ্তাহে একেক দিন একেক শিল্প এলাকায় শিল্পকারখানা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এলাকাভেদে ছুটি যেবারেই হোক, সেটি হবে সপ্তাহে এক দিন।
ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। রাজধানীর বিদ্যুৎ ভবনে আজ রোববার এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভাশেষে নিট পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর সহসভাপতি ফজলে এহসান শামীম প্রথম আলোকে বলেন, ‘আগে একেক এলাকায় সপ্তাহে এক দিন শিল্পকারখানা বন্ধ রাখার নিয়ম ছিল। মাঝে বিদ্যুৎ পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় আমরা শিল্পমালিকেরা সেটি মানতাম না। বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রতিমন্ত্রী আবারও সপ্তাহে এক দিন কারখানা বন্ধ রাখতে অনুরোধ করেছেন। আমাদের তাতে কোনো আপত্তি নেই। আমরা শুধু আগের রুটিন অনুযায়ী কারখানা সাপ্তাহিক বন্ধ রাখার কথা বলেছি। দ্রুত সময়ের মধ্যে মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে নির্দেশনা দেবে।’
ফজলে এহসান শামীম বলেন, ‘প্রতিমন্ত্রী আমাদের জানিয়েছেন, আগামী অক্টোবর থেকে বিদ্যুৎ পরিস্থিতির উন্নতি হবে। তখন নতুন বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু হবে। ভারত থেকেও বিদ্যুৎ আসবে। তা ছাড়া শীতের কারণে বিদ্যুতের চাহিদাও কম থাকবে।
সভায় উপস্থিত ছিলেন ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী, তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সহসভাপতি শহিদউল্লাহ আজিম, বস্ত্রকল মালিকদের সংগঠন বিটিএমএর পরিচালক রাজীব হায়দার প্রমুখ।
বিজিএমইএর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শহিদউল্লাহ আজিম বলেন, ‘প্রতিমন্ত্রী আমাদের বললেন, পোশাক ও বস্ত্র কারখানা সপ্তাহে এক দিন বন্ধ রাখলে ৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ বাঁচবে। তাতে কি আমরা নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পাব—প্রশ্ন করলে প্রতিমন্ত্রী আমাদের গ্যারান্টি দিতে পারেননি। তবে বলেছেন, পরিস্থিতির উন্নতি হবে। তারপর আমরা বিষয়টি মেনে নিয়েছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘গ্যাসচালিত ক্যাপটিভ জেনারেটরভিত্তিক কারখানা ও কাপড় ডায়িংয়ের কারখানায় প্রতিদিনই উৎপাদন চালানোর বিষয়ে আমরা বলেছি।’