জামালপুরের বকশীগঞ্জে ১৩ বছর বয়সী মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে তার বাবা রানা মৃধাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার রাতে পুুলিশ অভিযান চালিয়ে জামালপুরের রানীগঞ্জ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে।
এ ঘটনায় কিশোরীর মা বাদী হয়ে বকশীগঞ্জ থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। রানা মৃধা বকশীগঞ্জ সদর ইউনিয়নের সূর্যনগর গ্রামের সাক্কু মিয়া ওরফে শফি মৃধার ছেলে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ৩ আগস্ট রানা মৃধার সাথে তার স্ত্রী মুক্তা বেগমের ঝগড়া হয়। ঝগড়ার এক পর্যায়ে স্ত্রী মুক্তা বেগমকে মারধর করেন রানা। এতে মুক্তা বেগম রাগ করে বাপের বাড়ি চলে যান। এরপর রানা ও তার মাদ্রাসায় পড়ুয়া মেয়ে বাড়িতে ছিলেন। ওইদিন দিবাগত রাতে মেয়ে পাশের রুমে ঘুমিয়ে ছিলেন। রাত আনুমানিক ১২ টার দিকে রানা তার কিশোরী মেয়েকে ভয়ভীতি দেখিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।
পরদিন সকালে কিশোরী ঘটনাটি তার মা মুক্তা বেগমকে জানায়। ঘটনা জানাজানির পর ঘা ঢাকা দেয় রানা। এ ঘটনায় কিশোরীর মা মুক্তা বেগম শুক্রবার রাতে বকশীগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের পর লম্পট রানাকে গ্রেপ্তারে অভিযানে নামে পুলিশ। এদিন রাতেই জামালপুর থেকে রানাকে গ্রেপ্তার করে বকশীগঞ্জ থানা পুলিশ।
এ ব্যাপারে বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তরিকুল ইসলাম জানান, ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা মিলেছে। ওই কিশোরীর মা থানায় মামলা দায়ের করেছেন। ভিকটিমকে উদ্ধার করে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য জামালপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে এবং শনিবার দুপুরে আসামি রানা মৃধাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।