টাঙ্গাইলের মধুপুরে বাসে গণধর্ষণ ও ডাকাতির ঘটনায় দায়ের করা মামলার প্রধান আসামি রাজা মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।
আজ বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) ভোরে টাঙ্গাইল শহরের নতুন বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। রাজা মিয়ার কালিহাতী উপজেলার হারুন অর রশিদের ছেলে। তিনি টাঙ্গাইল শহরের নতুন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন।
পুলিশ জানায়, মধুপুরে বাসে গণধর্ষণ ও ডাকাতি ঘটনার পর থেকে জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান শুরু করে পুলিশ। এরই অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার ভোরে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল শহরের নতুন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান চালায়। এ সময় রাজা মিয়াকে তার ভাড়া বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার বলেন, ‘ঈগল পরিবহনের যে বাসটি ডাকাতের কবলে পড়ে, সেই বাসের চালককে সরিয়ে দিয়ে রাজা চালকের সিট দখল করে। গণধর্ষণ ও ডাকাতির সময়ে রাজা বাসটি চালাচ্ছিল। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এ ঘটনায় কে কে জড়িত ছিল রাজা পুলিশকে জানিয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের জোর চেষ্ট চলছে। ‘
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার (২ আগস্ট) রাতে কুষ্টিয়া থেকে ঈগল পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস ২৪-২৫ জন যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেয়। গভীর রাতে সিরাজগঞ্জ পৌঁছলে সেখান থেকে ১০-১২ জনের ডাকাতদল যাত্রীবেশে ওই বাসে ওঠে। বাসটি বঙ্গবন্ধু সেতু পার হওয়ার পর যাত্রীবেশে থাকা ডাকাতরা অস্ত্রের মুখে যাত্রীদের বেঁধে ফেলে। এ সময় তারা বাসটির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে কয়েক মিনিটের মধ্যে যাত্রীদের কাছ থেকে মোবাইল, নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার লুট করে নেয়। এক পর্যায়ে তারা বাসের এক নারী যাত্রীকে ধর্ষণ করে। বাসটি বিভিন্ন স্থানে ঘুরিয়ে তিন ঘণ্টা নিয়ন্ত্রণে রাখে তারা। পরে পথ পরিবর্তন করে টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ সড়কের মধুপুর উপজেলার রক্তিপাড়া জামে মসজিদের পাশে বালুর স্তূপে বাসটি ফেলে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় বাসের এক যাত্রী বাদী হয়ে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে মধুপুর থানায় ধর্ষণ ও ডাকাতির মামলা দায়ের করেন। ধর্ষণের শিকার নারী যাত্রী বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।