বাংলাদেশ রেলওয়ের অব্যবস্থাপনা, টিকিট কালোবাজারি কিংবা টিকিট কাটতে গিয়ে যাত্রীদের ভোগান্তি নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মো. মহিউদ্দিন রনির করা অভিযোগে সহজ ডটকমকে দুই লাখ টাকা জরিমানার আদেশ স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।
রোববার (৩১ জুলাই) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবির লিটনের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার তানজীব উল আলম এবং রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
এর আগে মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) সহজ ডটকমের পক্ষে ব্যারিস্টার তানজীব উল আলম এ রিট দায়ের করেন। রিটে বাণিজ্য সচিব, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছে।
রনির অভিযোগের পর গত ২০ জুলাই জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সভাকক্ষে শুনানি হয়। শুনানি শেষে অভিযোগকারীর উপস্থিতিতে রেলের টিকিট বিক্রির দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান সহজ ডটকমের বিরুদ্ধে গ্রাহক অবহেলার প্রমাণ পাওয়ায় ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
এ সময় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম শফিকুজ্জামান জানান, সহজকে পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে দুই লাখ টাকা পরিশোধ করতে বলা হয়েছে। জরিমানার ২৫ শতাংশ পাবেন অভিযোগকারী।
এর আগে ৭ জুলাই থেকে রেলওয়ের অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতি নিয়ে ছয় দফা দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী মহিউদ্দিন রনি। প্রথমে এককভাবে করলেও পরবর্তীতে তার এ আন্দোলন দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ে।
এর আগে গত ১৩ জুন রেলওয়ের ওয়েবসাইটে ঢাকা থেকে রাজশাহী যাওয়ার টিকিট কাটার চেষ্টা করেন মহিউদ্দিন রনি। অনলাইন পেমেন্ট সিস্টেমে বিকাশ থেকে ভেরিফিকেশন কোড পাঠানো হয়। কিন্তু পিন নম্বর দিয়ে সেটি নিশ্চিত করার আগেই বিকাশ অ্যাকাউন্ট থেকে টিকিটের মূল্য কেটে নেওয়া হয়। অর্থাৎ তিনি টিকিট পাননি, আবার টাকাও নিয়ে গেল। ঘটনার পর রনি কমলাপুর রেলস্টেশনে গিয়ে রেলওয়ের সার্ভার রুমে অভিযোগ করেন। সেখান থেকে কারণ হিসেবে জানানো হয়, সিস্টেমের কারণে এমন হয়েছে।