নেত্রকোণার মোহনগঞ্জে মোটরসাইকেল চুরির অভিযোগে মেহেদি হাসান সুজাত (৩০) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পরে তার দেয়া তথ্যে চোরাই মোটরসাইকেলটিও উদ্ধার করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেফতার সুজাত ও মোটরসাইকেলের মালিক রফিকুল দুজন বন্ধু।
শুক্রবার (২৯ জুলাই) দুপুরে ওই ব্যক্তিকে আদালতে পাঠানো হয়। এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে মোহনগঞ্জ পৌরশহরের আখড়া রোড থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার মেহেদি হাসান সুজাত বারহাট্টা উপজেলার নৈহাটি গ্রামের আ. হাশিমের ছেলে। আর মোটরসাইকেলের মালিক রফিকুল ইসলামের বাড়ি বারহাট্টা উপজেলার চাটটা গ্রামে। তিনি একটি কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধি হিসেবে মোহনগঞ্জে কর্মরত।
পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে মোহনগঞ্জ পৌরশহরের আখড়া রোডে আনন্দ হোটেলের সামনে মোটরসাইকেল রেখে কাজে যান রফিকুল। পরে দুপুর দুইটার দিকে এসে দেখেন মোটরসাইকেল নেই। দিনভর খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে সন্ধায় বিষয়টি পুলিশকে জানান তিনি। এ সময় অভিযুক্ত বন্ধু সুজাতও তার সাথে থানায় যায় অভিযোগ জানাতে। বিষয়টি গুরুত্বসহকারে নিয়ে মোটরসাইকেল খুঁজতে বের হয় পুলিশ। পরে আশপাশে সিসি ক্যামেরার স্পষ্ট কারো চেহারা না দেখা গেলেও মোটরসাইকেল নিয়ে যাওয়ারত অবস্থায় সুজাতের শার্টের কিছু অংশ দেখা যায়। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সব স্বীকার করে মোটরসাইকেলটি বের করে দেয় সে।
অভিযানের নেতৃত্বে থাকা মোহনগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রাশেদুল ইসলাম বলেন, আশপাশের দোকানে সিসি ক্যামেরা আছে জেনেই এদিন বেলা সাড়ে এগারোটার দিকে বিদ্যুৎ যেতেই মোটরসাইকেল নিয়ে পালায় সুজাত। পরে পুরোটা সময় মোটরসাইকেল মালিকের সাথে খোঁজাখুঁজিও করে সে। এমনকি থানায় অভিযোগ করার সময়ও সে সাথে ছিল। বিদ্যুৎ না থাকায় সিসি ক্যামেরায় ভিডিও থাকবে না এটা সে নিশ্চিত ছিল। তাই টেনশন মুক্ত ছিল। তবে একটি দোকানে থাকা সিসি ক্যামেরায় মোটরসাইকেল নিয়ে যাওয়ার দৃশ্য ধরা পড়ে। এতে কারো চেহারা বোঝা না গেলেও সুজাতের শার্টের একটু অংশ দেখা যায়। পরে তাকে ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে সব স্বীকার করে।
মোহনগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিুকল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় সুজাতের নামে মামলা দিয়ে শুক্রবার দুপুরে আদালতে তোলা হয়েছে। আদালত তাকে কারাগারে পাঠিয়েছে।