শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে কিশোরী মীম আক্তারকে (১৪) ধর্ষণ শেষে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যা করা হয় বলে জানিয়েছে র্যাব।
বুধবার দুপুরে র্যাব-১৪ এর পক্ষ থেকে শেরপুর প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক প্রেস বিফ্রিংয়ে এ তথ্য জানানো হয়।
গত ২৪ জুলাই উপজেলার পূর্ব বাকাকুড়া গ্রামের একটি পুকুর থেকে বস্তাবন্দি অবস্থায় এক কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে কাংশা ইউনিয়নের মমিন মিয়া লাশটি তার মেয়ে মীম আক্তারের বলে শনাক্ত করে। এ ঘটনায় র্যাব তদন্তে নামে এবং বুধবার রাতে সন্দেভাজন আসামি আল আমিনকে (২৭) আটক করে। আল আমিন বাকাকুড়া গ্রামের মো. শাজাহানের ছেলে।
প্রেস বিফ্রিংয়ে লিখিত বক্তব্যে র্যাব-১৪ এর স্কোয়াড্রেন লিডার কোম্পানি কমান্ডার আশিক উজ্জামান জানান, ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদঘাটন এবং অভিযুক্তকে আটকের জন্য র্যাব বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করে। এরপর ঘটনায় জড়িত সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে চিহ্নিত এবং তার অবস্থান নিশ্চিত করে। পরে বুধবার রাতে ঘাঘড়া কামারপাড়ায় আত্মীয় বাড়ি থেকে অভিযুক্ত আল আমিনকে আটক করে।
ওই র্যাব কর্মকর্তা আরও জানান, আটক আলামিন জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে, সে ভিকটিমকে ফুসলিয়ে বাকাকুড়া বাজারের কাছে কালগুসা নদীর তীরে নিয়ে ধর্ষণ করে। পরে জানাজানি হওয়ার ভয়ে ভিকটিমের পরিহিত ওড়না পেঁচিয়ে তাকে হত্যা করে এবং লাশ বস্তায় ভরে পুকুরে ফেলে দেয়।
প্রেস ব্রিফিংয়ে র্যাবের কর্মকর্তা সহকারী পুলিশ সুপার সবুজ রানাসহ র্যাবের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যাপারে ঝিনাইগাতী থানার ওসি মনিরুল আলম ভুইয়া বলেন, মিম হত্যায় ইতোমধ্যে থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। তিনি বলেন, আমরা আসামিকে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির দেওয়ার জন্য আজই আদালতের কাছে সোপর্দ করবো। আসামির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি ও ময়না তদন্তের রিপোর্টের ভিত্তিতে এ মামলায় ধর্ষণের ধারা সংযুক্ত হবে বলিও তিনি জানান।