ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার মুশল্লী ইউনিয়নের কামালপুর গ্রামে লাখ টাকার দাবি তুলে ৬০ হাজার টাকা নগদ নিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে করেন আদর মিয়া (২৫)। বিয়েতে শর্ত থাকে বাকি টাকা দিতে হবে মাস খানেকের মধ্যে। এ অবস্থায় দুই মাসেও বাকি টাকা না পেয়ে কৌশলে নববধূর স্বর্ণের গহনা নিয়ে লাপাত্তা হয়ে যান আদর। ওই নববধূ এখন মরিয়া হয়ে স্বামীর খোঁজ করছেন।
স্থানীয় সূত্র ও পরিবারের লোকজন জানান, ওই নববধুর বাড়ি কিশোরগঞ্জের সদর উপজেলা একটি গ্রামে। গত দুই মাস আগে তাঁর বিয়ে হয় নান্দাইল উপজেলার মুশল্লী ইউনিয়নের কামালপুর গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে আব্দুল মান্নান ওরফে আদর মিয়ার সাথে। চার লাখ টাকার দেনমোহরে বিয়েটি রেজিস্ট্রি হয়।
নববধূ জানায়, বিয়ের কিছুদিনের মধ্যেই স্বামী আদর বায়না ধরেন যৌতুকের বাকি টাকা এনে দেওয়ার জন্য। এ অবস্থায় তিনি আর কিছু দিন অপেক্ষা করার কথা বললে স্বামী খারাপ ব্যবহার করতে থাকেন। একপর্যায়ে গত শুক্রবার সকালে তাকে বলেন কানের দুল, গলার চেইন ও নাকের ফুল শরীর থেকে খুলে দিতে। এগুলো আবার নতুনভাবে তৈরি করবে। এই ফাঁদে পড়ে সরল বিশ্বাসে তিনি গহনা খুলে দেন। পরে বিকেলের দিকে তাকে বাবার বাড়িতে রেখে লাপাত্তা হয়ে যান। খোঁজাখুঁজি ছাড়াও তার মোবাইল নম্বরে একাধিক ফোন দিলেও ফোন রিসিভ করেননি।
আদরের ভাই সোহাগ জানান, তার পরিবারও খোঁজ করে কোথাও সন্ধান পাচ্ছে না। যৌতুকের টাকা সর্ম্পকে সোহাগ জানান, ৬০ হাজার টাকা নগদ নেওয়ার পরে বাকি ৪০ হাজার টাকা মেয়ের পরিবার নির্ধারিত সময়ে দিতে পারছিলেন না এটা সত্য। কিন্তু এতে তো গহনা নেওয়ার কোনো কারণ নাই।
আদর এর আগেও একটি বিয়ে করেছেন। তার একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। আদরের নম্বর যোগাড় করে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন ধরেননি।