ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের আংশিক কমিটি ঘোষণার পরই কমিটি থেকে এক সদস্য পদত্যাগ করেছেন। ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে পদত্যাগের ঘোষণা দেন সাফায়েত হোসেন ভুঁইয়া নামে স্থানীয় ওই নেতা। এছাড়া তৃণমূল নেতাদের মতামত না নিয়ে কমিটি ঘোষণা করায় ক্ষোভ জানান অন্য নেতারা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘ ১৯ বছর পর ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের নতুন কমিটি দেওয়া হয়েছে। সর্বশেষ ২০০৩ সালে উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটি হয়েছিল। গত শুক্রবার স্থানীয় ঈশ্বরগঞ্জ সরকারি কলেজ মাঠে উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। এছাড়া কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অসিম কুমার উকিল, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মারুফা আক্তার পপি, সদস্য রেমন্ড আরেং উপস্থিত ছিলেন। সম্মেলনের প্রথম অধিবেশন শেষে নেতারা চলে যান ময়মনসিংহে। সেখানে সার্কিট হাউজে বসে আলোচনা শেষে ১৮ সদস্যের আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়। এতে সভাপতি করা হয় সাবেক এমপি মো. আবদুছ ছাত্তার ও সাধারণ সম্পাদক করা হয় ছাফির উদ্দিন আহমেদকে।
কমিটিতে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ছিলেন উপজেলা ছাত্রলীগ ও যুবলীগের প্রাক্তন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বপালন করা সাফায়েত হোসেন ভুঁইয়া। ঘোষিত কমিটিতে তাকে দপ্তর সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হয়। কমিটির ঘোষণার পরপর নিজের ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন তিনি। তাতে তিনি পারিবারিক কারণে নব নির্বাচিত কমিটি থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিচ্ছেন বলে উল্লেখ করেন। এ ব্যাপারে শনিবার বিকেলে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বরাবর একটি চিঠিও দেন তিনি।
সাফায়েত হোসেন ভুঁইয়া বলেন, ছাত্রলীগ ও যুবলীগে সভাপতি-সম্পাদক হিসেবে নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্বপালন করেছি। আমি সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ছিলাম আমাকে দপ্তর সম্পাদক দেওয়া হলো। এটা কী হয়? তিনি আরও বলেন, আমি কারো টাকায় রাজনীতি করিনা। আমি কি বিএনপির এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য রাজনীতি করি ?
তিনি বলেন, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায় থেকে লোক আসলেও তৃণমূলের কোনো মতামত না নিয়ে ময়মনসিংহে বসে কমিটি দেওয়া হয়েছে। অনেক বহিস্কৃতরা পদে এসে গেছে, আর আমার মতো লোককে দপ্তর সম্পাদক পদ দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি হাস্যকর। এছাড়া কমিটি দেওয়া নিয়ে নানা অভিযোগ করেন তিনি।
ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মো. আবদুল কদ্দুস বলেন, কমিটি ঘোষণার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একজন পদত্যাগ করেছেন দেখেছি। এর বাইরে কিছু মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি।