1. najmush71@gmail.com : admin : Najmush Shakeer
  2. munir2002lubnan@gmail.com : Munirul Huq Khan : Munirul Huq Khan
শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৩৭ অপরাহ্ন

অলৌকিক ভাবে জন্ম নেয়া নবজাতকের অবস্থার অবনতি হয়নি, মমেকে স্থানান্তর

রিপোর্টার
  • আপডেট : মঙ্গলবার, ১৯ জুলাই, ২০২২

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়মনসিংহের ত্রিশালে ট্রাকচাপায় মৃত মায়ের পেট থেকে অলৌকিকভাবে জন্ম নেয়া সেই নবজাতকের অবস্থার অবনতি হয়নি। তাকে সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণের জন্য সোমবার সন্ধ্যায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নবজাতক নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (এনআইসিইউ) রাখা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে তার চিকিৎসায় ৫ সদস্যের মেডিকেল বোর্ডও গঠন করা হয়েছে।

শিশুটি ময়মনসিংহ লাবিব হাসপাতালে ভর্তি ছিলো। সেখানে শুরু থেকে এই নবজাতকের চিকিৎসা করছিলেন কমিউনিটি বেজড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. কামরুজ্জামান। তিনি জানান সোমবার সন্ধ্যায় শিশুটির শরিরে জন্ডিসের ভাব দেখা যায়। জন্মের পর শিশুর এরকম জন্ডিস হয়ে থাকে। নবজাতকের রক্তে উচ্চ বিলিরুবিন মাত্রার কারণে এ জন্ডিস হয়। ৬০ শতাংশ পূর্ণ গর্ভকাল নবজাতকের এবং ৮০ শতাংশ প্রি-টার্ম অর্থাৎ অকালজাত নবজাতকের মধ্যে প্রথম সপ্তাহে জন্ডিস দেখা যায়। তবে এর বেশির ভাগই নির্দোষ জন্ডিস, যাকে ফিজিওলজিক্যাল জন্ডিস বলে। কোন ঔষধ  ব্যতিতই এটি ভালো হয়। তাই সুরক্ষার জন্য তাকে ফটোথেরাপির দেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

লাবীব হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শাহজাহান বলেন, চিকিৎসক ফটোথেরাপি দেওয়ার জন্য পরামর্শ দিলে তাকে সোমবার সন্ধ্যায়ই ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করি। এসময় স্থানান্তরের বিষয়টি জেলা প্রশাসককে জানানো হলে তিনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করেন। পরবর্তীতে হাসপাতালেই রাখা হয়েছে নবজাতককে।

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. ওয়ায়েজ উদ্দিন ফরাজী জানান, শিশুটির চিকিৎসায় ৫ সদস্যের বিশেষজ্ঞ মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। কমিটির প্রধান করা হয়েছে হাসপাতালের নবজাতক বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. তোফাজ্জল হোসেন এবং সদস্য সচিব হিসেবে আছেন একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক নজরুল ইসলাম।

ডা. নজরুল ইসলাম জানিয়েছেন জন্ডিসের সমস্যাটি জটিল নয়। এমনটি হয়েই থাকে। তিনি জানান শিশুটির শরীরে রক্ত কম। তাই ৫০ এম এল রক্ত দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন গর্ভকালিন সময়ে নাড়ী কাটার ক্ষেত্রে সমস্যা হয়ে থাকতে পারে তাই হয়তো শরীরে রক্তের পরিমান কম ছিলো। সাথে শ্বাসকষ্ট ছিলো। কোন ধরনের ইনফেকশন হয়েছে কিনা তা জানতে কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হচ্ছে। ভাঙ্গা হাতের অবস্থা অবনতি হয়নি। শরীরের ভিতরে আরো কোথাও কোন আঘাত আছে কিনা তার জন্য আল্ট্রাসনোগ্রাম করা হবে। শিশুটির নিরাপত্তার জন্যই হাসপাতালের নবজাতক নিবিড় পরিচর্চা কেন্দ্রে (এনআইসিইউ) রাখা হয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২৩ আঙ্গর টিভি