ময়মনসিংহের ত্রিশালে সড়ক দুর্ঘটনায় অলৌকিকভাবে বেঁচে যাওয়া শিশুর যাবতীয় খরচ ১৮ বছর পর্যন্ত রাষ্ট্রকে বহনের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে।
সোমবার (১৮ জুলাই) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় ব্যারিস্টার সৈয়দ মাহসিব হোসাইন জনস্বার্থে এ রিট দায়ের করেন। রিটে শিশুর যাবতীয় খরচ বহন ও তার পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিষয়ে একটি কমিটি গঠনের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
বিচারপতি খিজির আহমেদ চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) রিট আবেদনটির ওপর শুনানি হতে পারে।
রোববার (১৬ জুলাই) ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে ত্রিশালের কোর্ট বিল্ডিং এলাকায় ট্রাকচাপায় মারা গেছেন এক অন্তঃসত্ত্বা নারী, তার স্বামী ও মেয়ে। তবে মারা যাওয়ার আগে অন্তঃসত্ত্বা নারীটির পেট থেকে (পেট ফেটে গিয়ে বা কেটে গিয়ে) সড়কেই ভূমিষ্ঠ হয় একটি ফুটফুটে নবজাতক। শুধু তাই নয়, অলৌকিকভাবে বেঁচেও গেছে সেই নবজাতকটি। সদ্যপ্রসূত শিশুটিকে ময়মনসিংহ সদরের সিবিএমসি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে এক্সরে রিপোর্টে জানা যায় তার ডান হাতের দুইটি হাড় ভেঙ্গে গেছে। বর্তমানে শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. কামরুজ্জামানের তত্ত্বাবধানে লাবীব হাসপাতালে সদ্যজাত শিশুটি চিকিৎসাধীন রয়েছে। শিশুটি শঙ্কামুক্ত আছে এবং আগামী ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে ভাঙা হাড় জোড়া লাগাসহ পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠবে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
দুর্ঘটনায় নিহতরা হলেন, রত্না বেগম (৩২), তার স্বামী জাহাঙ্গীর আলম (৪০) এবং তাদের ছয় বছরের শিশু সন্তান সানজিদা। তাদের বাড়ি ত্রিশাল উপজেলার রায়মণি এলাকায়।